গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বিপ্লব বিশ্বাসের মেয়ে সাথী বিশ্বাসকে কুসলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌস মোল্লা অবৈধ মেলামেশা করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। জানা যায়, নয় মাস পর, তারা বিবাহ করে এবং ঢাকা কোর্টে এফিডেভিট করে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন সাথী বিশ্বাসকে, যার নতুন নাম আয়েশা সিদ্দিকা। তবে, বিবাহের পর থেকে স্বামী ফিরদৌস মোল্লা তার স্ত্রীর খোঁজখবর নেননি এবং তাকে খোরপোষ দেননি। দুই বছর পর, আজ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সাথী বিশ্বাস (আয়েশা সিদ্দিকা) তার স্বামীর বাড়ি কুসলি গেলে, স্বামী ফিরদৌস মোল্লা, তার পিতা ফয়সল মোল্লা ঝুমুর ননদ ভাই আমিনুর, ননদ জামাই নয়ন ময়না রতœা পারভীন শাহিদা বেগম ও ফয়সল মোল্লা মিলে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফেরদৌস মোল্লা বলেন আমি আমার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা কে শারীরিক কোন নির্যাতন করিনি তবে আমার ফ্যামিলির সদস্যদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান আয়েশা সিদ্দিকার উপরে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাথী বিশ্বাস (আয়েশা সিদ্দিকা) টুঙ্গিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাথী বিশ্বাস (আয়েশা সিদ্দিকা) বর্তমান টুঙ্গীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসারত অবস্থায় ভর্তি আছে।অভিযোগে তিনি বলেছেন যে, তার স্বামী ফেরদৌস মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নানাভাবে নির্যাতন করেছেন এবং তার প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও সমাজের অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।