জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি পরিবারকে ৭ দিন ধরে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। বাড়িতে চলাচলের রাস্তায় দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া দিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার চিলাহাটির কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চাঁন্দখানা গ্রামে। অবরুদ্ধ পরিবারের অভিভাবক বাবলু হোসেন(৪৮) জানান-২০১৬ সালের ১১ জুলাই ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের কাছে আমার বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য ৭ শতক আর রাস্তার জন্য ২ শতক সবমিলে ৯ শতক জমি কেনার টাকা দেই। ধীরেন্দ্রনাথ রায় জেএল ৮নং এর এসএ ২৬৪৬ এবং বিএস ৪৩৮০ দাগে ৪০ শতক জমির মধ্যে ৭ শতক জমি আমাকে রেজিস্ট্রি দেয় আর রাস্তার বাকি ২ শতক জমি রেজিস্ট্রি দেওয়ার পূর্বেই তিনি মারা যান। ধীরেন্দ্রনাথ রায় মারা যাওয়ার পর তার ছেলে গোড়াবাবু রায় এর কাছে অবশিষ্ট ২ শতক জমি রেজিস্ট্রি চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে এবং আমাকে এবং আমার পরিবারকে বলে আমার বাবাকে টাকা দিয়েছো তার কাছে জমি নাও। এরই মধ্যে গত ৯ জুলাই গোড়াবাবু রায় তার জমির উপরে আমার চলাচলের রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এদিকে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা তাদের জমিতে চাষাবাদ এর জন্য আগে থেকেই বেড়া দিয়ে রাখে। ফলে আমি এবং আমার পরিবারের অন্যান্য বাকি ৫ জন সদস্যরা প্রায় ৭ দিন থেকে অবরুদ্ধভাবে জীবন যাপন করছি। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল এসে গেলেও কোন প্রতিকার পায়নি আমরা। আমার দুই ছেলে আল-আমিন ও রিফাত রাজমিস্ত্রির কাজ করে। অবরুদ্ধ থাকার কারণে তারাও কোন কাজকর্মে যেতে পারছে না। সংবাদকর্মীরা গোড়াবাবু রায় এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের সামনে আসেননি। অবরুদ্ধ পরিবারের বাবুল এর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন কান্না জনিত কন্ঠে বলেন- আজ বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও আমরা ঠিক মতো খেতে পারি না, ঠিকমতো বাজার ঘাট করতে পারিনা। এমনকি গৃহপালিত পশুগুলোকেও মাঠে নিয়ে যেতে পারি না অবরুদ্ধ থাকার কারণে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রোমান জানান- আমি খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দেখি ওই পরিবারটি অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। উভয় পক্ষকে নিয়ে আমি বৈঠকে বসবো।