কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সিংহভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ডা. এজাজ। শুধু নাটক-সিনেমায় অভিনয় নয়, ডা. এজাজ বিভিন্ন কারণে হুমায়ূন আহমেদের নিকটজন হয়ে উঠেছিলেন। ডা. এজাজও তাকে অভিভাবক বা পিতৃতুল্য মনে করতেন। গত বুধবার (১৯ জুলাই) কথার জাদুকর খ্যাত এ কথাসাহিত্যিকের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন ‘জাগো তারকা’য় সাক্ষাৎকার দিতে অতিথি হয়ে আসেন তিনি।
এসময় আলোচনায় হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে নানানমুখী স্মৃতিচারণ করেন ডা. এজাজ। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে হুমায়ূন আহমেদের শেষযাত্রা প্রসঙ্গে। তার অন্তিমযাত্রা নিয়ে তিনি বলেন, নুহাশপল্লিতে যেখানে প্রথম রাতযাপন করেন হুমায়ূন আহমেদ স্যারকে সেখানে তার কবর হয়েছে। আমিই তাকে এখানে থাকার জন্য ঘর নির্মাণ করেছিলাম। নিয়তির কী অমোঘ ঘটনা ঠিক সেখানেই আমার নিজ হাতে স্যারকে সমাহিত করেছি। এই স্মৃতি আমি কোনোদিন ভুলতে পারবো না। বৃষ্টি ছিল স্যারের ভীষণ পছন্দ, তাকে সমাহিত করার দিন অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিল। এসব ঘটনা আমার কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছিল।
কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন খানি, মিলাদ এবং এতিমখানার মাদরাসার ২৫০ শিক্ষার্থীর মাঝে রান্না করা হুমায়ূন আহমেদের পছন্দের খাবার পরিবেশন করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ (১৯ জুলাই) গাজীপুরের নুহাশপল্লিতে পালন করা হয়েছে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী। এসব আয়োজনে তার পরিবারের স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালের আজকের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তার ইচ্ছে অনুযায়ী তাকে সমাহিত করা হয় তার হাতে গড়া নুহাশপল্লিতে। এই দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেন তার ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা।