মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বীর নিবাস পেতে বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার আকুতি

সঞ্জিত চন্দ্র শীল (হোসেনপুর) কিশোরগঞ্জ :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩

বর্তমান সরকার সারাদেশে অসহায়, অসচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ করে দিচ্ছেন।জীবনের অন্তিম মুহুর্তে এসে শারীরিক শক্তি হারিয়ে আয় উপার্জন না থাকায় অনাহারে ,অর্ধহারে দু’চোখের কেবলই অন্ধকার দেখছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের বয়বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লাল মিয়া। ১৯৭১ সালে তিনি যখন ২০ বছরের টগবগে তরুণ সেই সময় তিনি জীবনের মায়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ভারতে মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং নিয়ে ১১ নং সেক্টরে আফাজ কমান্ডার নেতৃত্বে যুদ্ধ শুরু করেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। জীবনের মায়া উপেক্ষা করে দেশমাতৃকার মায়ায় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধার নিবেদিত সৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন।সেই সময়ে চোখ মুখে ছিলো সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন। দেশ স্বাধীন হলে দু’বেলা জোটবে মুখের আহার, জুটবে নিরাপদ বাস আবাসস্থল। তাঁর বাড়ি উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের চর জামাইল গ্রামে। বয়স ৭৫। তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেদের বিয়ে করিয়েছেন ও মেয়েদেরকেও বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। ছেলেরা তার দিকে ফিরেও তাকায়নি। এমনকি নেয় না খোঁজ খবরও। অসুখ বিসুখে নির্ধারণ কষ্টে কাটছে জীবন। বড়ই অসহায় ও একাকিত্ব জীবন যাপন করছেন মুক্তিযুদ্ধ লাল মিয়া। নিজের জমি গুলো ছেলেরা লিখে নিয়েছে। এখন তিনি নি:স্ব। ফলে আগাছার মত আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। থাকার ঘরটুকু এখন নেই তাও আবার ছেলেদের দখলে। তাই জীবনের শেষ বেলায় দাঁড়িয়ে তার শেষ ইচ্ছা এক খন্ড জমিতেই নিজের একটি বাসা বাড়ি যেখানে বাকী জীবন তিনি নির্বিঘেœ কাটাতে পারেন। দারিদ্র জর্জরিত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। তিনি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে রোগ বালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন যুদ্ধে জয় হতে চান মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়া। তার এ, মুক্তিবার্তা নং- ০১১৭১৩০১৫৩ গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা নম্বর:০১৪৮০০০২২৯২। কিন্তু ভাতা হিসেবে পাওয়া অর্থ স্বামী-স্ত্রী দু’জনের চিকিৎসা ও খাওয়া পরার খরচ যোগাতে শেষ হয়ে যায়। স্থায়ী একটা বাসা বাড়ী তৈরীর চিন্তা তার কাছে দুঃস্বপ্ন মাত্র। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার অনেক গরীব মানুষকে জমি দিচ্ছেন, পাঁকা বাড়ী করে দিচ্ছেন। স্থানীয় অনেক দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধির কারণে অনেক ভিটে মাটিহীন নাগরিক এ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমি একজন সহায় সম্বলহীন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রধান মন্ত্রীর আকুল আবেদন একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার শেষ ইচ্ছাটা যেন তিনি পূরন করেন। নিশ্চয় আল্লাহ তালা দীর্ঘায়ু দান ও পর জীবনে উত্তম পুরস্কারে সম্মানিত করবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল জানান, তার নাম ঠিকানা আমাকে দেন আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com