বিয়ে সবার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে নারী-পুরুষ একত্রে বৈধভাবে মিলিত হয়। স্বপ্ন দেখে সুখী নীড় গড়ে তোলার। সবাই চায় তার বিবাহিত জীবন সুখী হোক। তবে দুর্ভাগ্যবশত বিয়ের পর নারী-পুরুষ যেমন সংসার শুরু করে; তেমনই শুরুর পর পরও অনেক সময় দেখা দেয় বিচ্ছেদের ঘণ্টাধ্বনি। কেন বিবাহবিচ্ছেদ, কেনই বা সংসার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিবাহবিচ্ছেদের শীর্ষ কয়েকটি কারণ-
সঙ্গীকে অসম্মান করা: দম্পতিদের মধ্যে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়া কিংবা মনোমালিন্য খুবই সাধারণ বিষয়। তাই বলে বারবার সঙ্গীকে অসংলগ্ন কথা বলা কিংবা সঙ্গীকে অসম্মান করা বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। এর ফলে অপরজনের মধ্যে ধারণা জন্মায়, সঙ্গীর কাছে বোধহয় তার কোনো সম্মান নেই!
ভুল বোঝাবুঝি: বেশিরভাগ মারামারি, তর্ক ও বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ হলো ভুল বোঝাবুঝি। অনুমান ও অবিশ্বাস্যের কারণে ঘটতে পারে বিবাহবিচ্ছেদ।
বিশ্বাসঘাতকতা: বিশ্বাসঘাতকতার কারণেও অনেকেরই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক দাম্পত্য জীবন ধ্বংস করে দেয়। মুহূর্তেই ভেঙে দেয় সাজানো-গোছানো সংসার।
নেশাগ্রস্ত বা দায়িত্বহীনতা: অ্যালকোহল, ড্রাগে আসক্ত ব্যক্তিরাও সম্পর্ক ও সঙ্গীকে ধরে রাখতে পারেন না। কারণ মেজাজের পরিবর্তন, আচরণ, ঘুমের ধরন, ক্ষুধা, পারিবারিক দায়িত্ব, বন্ধু ও সংযোগ, অর্থের অপচয় ও ভুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে এমন মানুষদের মধ্যে।
উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা লোভ: অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা কিংবা লোভী নারী-পুরুষ অর্থ, ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির লোভে তার চেয়ে তিনগুণ বয়সী নারী-পুরুষ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। একসময় মোহ চলে যায় বা অক্ষম পুরুষ-নারী কিংবা অর্থচাহিদা পূর্ণ হলে আবার নতুনের সন্ধানে বের হয়। এমন সম্পর্ক শেষ হয় বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে।
পারিবারিক নির্যাতন: পারিবারিক নির্যাতনের কারণেও একটি সংসার ভেঙে যায়। বিশেষ করে অনেক নারী তার সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান। শুধু নারীরাই নন, পুরুষদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় এটি দেখা যায়।
তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ: কারও দাম্পত্য জীবনে যদি পরিবারের সদস্যদের মতামত কিংবা অভিযোগ যুক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে বিরোধ বাঁধতে পারে দম্পতির মধ্যে। যেমন- শ্বশুরবাড়ির কোনো সদস্যের বিরূপ মন্তব্য কিংবা কটাক্ষর শিকার হয়েও অনেকে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া