বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের উদ্বেগ জানিয়েছে । তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার ১২ আগস্ট বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এই দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবারও আমি হাসপাতালে ছিলাম। বোর্ড হয়েছে। সেই বোর্ডের ডাক্তারা খুব উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন, অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হলে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তারা বারবার বলেছেন, চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে পাঠানো উচিত।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই এক দফা দাবি আদায় করে জনগণ একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং তার মুক্তির ব্যবস্থা করবে।’ গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাতে খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, ডায়াবেটিস, কিডনি, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর আগে সর্বশেষ গত ১২ জুনে বিএনপি চেয়ারপারসন এই হাসপাতালে শারীরিক চেকআপে আাসেন। তখনও তাকে কয়েকদিন হাসপাতাল চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়েছে।
কবর জিয়ারতকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অত্যাচার ও নির্যাতনেই অকালে প্রাণ হারান আরাফাত রহমান কোকো। মেধাবী ও অসাধারণ সংগঠক ছিলেন তিনি। তাকে মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার নির্মমভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে। শারীরিক নির্যাতনে তিনি অসুস্থ হয়ে যান। পরে মালয়েশিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’