দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়েছে এবং উন্নতি হয়েছে, অন্যদিকে মানুষের মধ্যে প্রচন্ড ভাবে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে। দেশে অর্থনৈতিক দুবৃত্তায়ন ও ব্যাংকে লুটপাট চলছে, অর্থ পাচার হচ্ছে, কিছু লোকের হাতে সম্পদ কেন্দ্রিভুত হয়ে গেছে। মানুষের মনের মধ্যে রাগ ক্ষোভ বিক্ষোভ বিরাজ করছে। কথাগুলো বলেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাসেদ খান মেনন এমপি। তিনি আরো বলেন, গত ১৪ বছর শাসন আমলে প্রথম দিকে ১৪দলের জোটের সরকার ছিলো। এখন আওয়ামীলীগের সরকার। ১৪ দলের নাম নিয়ে আওয়ামীলীগ একক সিদ্ধান্তে সকল কাজ করছে। এখন মানুষের মনের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে, এবং গত ১৪ বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তাদের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা দূর্নীতি-লুটপাট ও বাজারের মুল্যবৃদ্ধি করেছে। এসব কারনে আমাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই ওয়ার্কার্স পাটি আগামীতে কিভাবে পরিচালিত হবে তা নির্ধারনের সময়ে এসেছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাচুত্য হলে আমাদের বিপদে পড়তে হবে। কারন আওয়ামীলীগ-বিএনপি এরা একে অপরের সাথে মিলেমিশে চলে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামীলীগ তাদের সাথে মিলে মিশে থাকবে। আমরা পড়বো বিপদে। তাই আমাদের প্রয়োজনে আওয়ামীলীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। পাবনা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে শনিবার রাতে বর্ধিত সভায় জেলা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি কমরেড জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়াকার্স পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লুৎফুন নেছা খান এমপি, সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের সাবেক উপাধক্ষ্য প্রফেসর শহিদ মোঃ ইব্রাহীমসহ জেলা ওয়াকার্স পাটির নেতৃবৃন্দ ও বামপন্থি অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দ। বর্ধিত সভায় ১৪ দলের পক্ষ থেকে পাবনা জেলা ওয়াকার্স পাটির সভাপতি কমরেড জাকির হোসেনকে পাবনা ৫ আসনের প্রার্থী হিসাবে ঘোষনার জন্য দাবি জানানো হয়।