সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন

স্বরূপকাঠি উপজেলার গণমানুষের স্বপ্নের নায়ক মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজ

নিয়াজ মোর্শেদ (স্বরূপকাঠি) পিরোজপুর
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩

স্বাধীনতার পর পরই স্বরূপকাঠি উপজেলা নিয়ে বহুত চড়াই উৎরাই পেরিয়ে একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থ নৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে স্থানীয় জনগণ। বেশীরভাগ লোকজন আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে। পাশাপাশি শিক্ষা দিক্ষায়ও দারুণ এগিয়ে রয়েছে স্বরূপকাঠি উপজেলার জনগণ। অবশ্য বিগত সময় থেকে স্বরূপকাঠীর উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে কারণে অকারণে। স্বরূপকাঠির নাম নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক মেরুকরণের গুটির চাল। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শুরু হয় স্বরূপকাঠি উপজেলার নাম পরিবর্তন করার গুরুত্বপূর্ণ মিশন। ছারছিনা দরবার শরীফের তৎকালীন হুজুর স্বৈরাচার এরশাদকে কব্জা করে নাম পরিবর্তন করার মিশনে ছিল। সাধারণ মানুষের দাবী উপেক্ষা করে স্বরূপকাঠি উপজেলার নাম পরিবর্তন করে নেছারাবাদ উপজেলা করা হয়।আবার স্বরূপকাঠি উপজেলার রাজনীতি নিয়ে চলছে বহু দেনদরবার। সংসদীয় আসনে স্বরূপকাঠি যেন একটা সোনার খনি। বিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে হয়তো একটা খাটি মধু লুকিয়ে আছে। নইলে বিগত সময়ে স্বরূপকাঠি-বানারীপাড়া উপজেলার সাথে সংসদীয় আসন ছিল। যদিও স্বরূপকাঠি উপজেলা ছিল পিরোজপুর জেলার মধ্যে। আবার বানারীপাড়া ছিল বরিশাল জেলার মধ্যে। এরপর আবারও শুরু হয় সেই স্বরূপকাঠি উপজেলা নয়া রাজনীতির হিসাব নিকাশ। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে স্বরূপকাঠি উপজেলা নিয়েও শুরু হয় নুতন করে হিসাব নিকাশ। আর সেই সূত্র ধরেই স্বরূপকাঠি উপজেলার সাথে সম্পৃক্ত হয় কাউখালি ও ভান্ডারিয়া আসন। ভোটের হিসেবে স্বরূপকাঠি উপজেলার ভোট বেশি। বর্তমান সময়ে ভান্ডারিয়া ও কাউখালি উপজেলার চেয়ে ছাব্বিশ হাজারের বেশি ভোট রয়েছে। যদিও বর্তমান সময়ে আবারও স্বরূপকাঠি উপজেলা নিয়ে নাটক আর নাটক শুরু হয়েছে। জ্ঞানী গুনীজনরা বলেন, কি মধু লুকিয়ে আছে স্বরুপ কাঠী উপজেলার মধ্যে? নইলে স্বাধীনতার পর পরই স্বরূপকাঠি উপজেলা নিয়ে নাম করন নিয়ে রাজনীতি। আসন বন্টনের রাজনীতি। স্বরূপকাঠি উপজেলার অর্থ নৈতিক স্বচ্ছলতার মধ্যে ভাগ বসানোর রাজনীতি। তবে এতকিছুর পরেও স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষ শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বিগত সময়ে পিরোজপুর (১) সংসদীয় আসনে স্বরূপকাঠি অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ নাজিরপুর-পিরোজপুর-নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর এক সংসদীয় আসন।আবার কিছুদিন আগে নুতন করে স্বরূপকাঠি উপজেলা নিয়ে নুতন রাজনীতি শুরু হয়। অর্থাৎ বিগত সময়ের মত পিরোজপুর (২) আসনে অন্তর্ভুক্ত করা। অর্থাৎ ভান্ডারিয়া – কাউখালি ও স্বরূপকাঠি উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন। বর্তমান সময়ে আপিল চলছে আসন বন্টনের। আসলে স্বরূপকাঠি উপজেলার ভাগ্যে কি আছে তা বলা মুশকিল। তবে জনমত জরিপে সাধারণ ভোটাররা পিরোজপুর সদরের সাথে থাকতে নারাজ। আবার কম সংখ্যক নেতা কর্মীরা পিরোজপুর এক আসনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে চায়। অবশ্য নাটকের পর নাটক স্বরূপকাঠি উপজেলা নিয়ে। অবশ্য আজকে ফয়সালা হতে পারে, সখি তুমি কার। অর্থাৎ স্বরূপকাঠি উপজেলা কি পিরোজপুর (১) আসেন থাকবে না কি পিরোজপুর (২) আসেন সম্পৃক্ত হবে। আজই চূড়ান্ত ফয়শালা হতে পারে। তবে সকল জল্পনা কল্পনার অবসানও হতে পারে। অর্থাৎ ভান্ডারিয়া-কাউখালী ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর (২) আসনই চূড়ান্ত। তবে দলমত নির্বিশেষে তিন উপজেলার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা পিরোজপুর জেলার আসনে সম্পৃক্ত থাকতে চায় না। অর্থাৎ সাধারণ কর্মী সহ বেশীরভাগ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পছন্দ করে না। আর সেই কারণে স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষ একজন চমৎকার নেতার সন্ধানে রয়েছে। বহুদিন কাঠখড় পোহাতে হয়েছে একজন চমৎকার ও জনপ্রিয় নেতা পাওয়ার জন্য। তবে বিগত সময়ে প্রয়াত সংসদ সদস্য হিসেবে সৈয়দ শহিদুল হক জামালের ঝুড়ি মেলা ভার।দলমত নির্বিশেষে একজন জামাল ভাইয়ের কথা স্বরন করে আজও। কিন্তু দিন যায়, মাস যায় কিন্তু একজন চমৎকার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মী বান্ধব একজন নেতার অভাবে স্বরূপকাঠি উপজেলার উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে বারংবার। অথচ বহু সাধনার পর সাধারণ মানুষ একজন নেতার সন্ধান পেয়েছে। আর সেই নেতা সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও একজন। আর হ্যা আমরাও বলছিলাম সুপ্রিয় পাঠকের জন্য সেই স্বপ্নের নায়কের কথা। যদিও বর্তমান ডিজিটাল যুগে সেই নায়কের একটা চমৎকার পরিচয় ছিল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সুপ্রিয় পাঠকরা হয়তো ইতিমধ্যে আচ করতে সক্ষম হয়েছেন। কে সেই সংসদীয় আসনের জন্য নায়ক। নিশ্চয়ই একজন জনপ্রিয় নেতা ও চমৎকার মানুষ সকলের সুপ্রিয় নেতা মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজের কথাই বলবেন। ঠিক আমরাও সেই জন দরদী নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজ ভাইয়ের কথাই বলছি। সত্যি সত্যিই স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষ একজন চমৎকার নেতার সন্ধান পেয়েছে। বিগত সময়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে সকলের সুনজরে ছিল। দলমত নির্বিশেষে সকলের আস্থার প্রতিক ছিলেন মহিউদ্দিন মহারাজ। আর সেই সূত্র ধরেই স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষের গর্ব পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজ। স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ নেতা কর্মীরা চায় একজন চমৎকার কর্মী বান্ধব নেতা। বিগত সময়ে সৈয়দ শহিদুল হক জামালের মত সাধারণ মানুষও মহিউদ্দিন মহারাজকে পেয়ে দারুণ ভাবে মুগ্ধ। পিরোজপুর (১) কিংবা (২) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে পাওয়ার বাসনা সর্বমহলের। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজ জেলার ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি জনগণের খাদেম হয়ে সেবা করতে চাই। স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষ আমাকে ভীষণ ভালবাসে। তাই এদের কাছে আমি ঋণী।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com