শরীরে সুগন্ধি বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন না এমন মানুষের সংখ্যা কমই আছে। দিনভর সতেজ থাকার জন্য ও ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে এর কার্যকারিতা অনেক।
বেশিরভাগ মানুষই ডিওডোরেন্ট শুধু বগলে ঘাম ও দুর্গন্ধ কমাতে ব্যবহার করেন। তবে জানলে অবাক হবেন, শরীরের আরও বেশ কিছু স্থান আছে যেখানে ডিওডোরেন্ট ব্যবহারে অনেকটাই উপকৃত হবেন-
পায়ে: যারা সারাদিন জুতা পরে কাটান, তাদের পা ঘেমে দুর্গন্ধের উদ্রেগ ঘটে। তাই পায়ের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখখে সেখানে কিছুটা ডিওডোরেন্ট স্প্রে করতে পারেন। এতে পা শুষ্ক থাকবে আবার দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘামমুক্তও থাকবেন।
স্তনের নিচে: নারীরা প্রায়শই তাদের বুকের নীচে ঘামের সমস্যার মুখোমুখি হন। এক্ষেত্রে ডা. অ্যালেক্সেস হ্যাজেন পরামর্শ দিয়েছেন স্তনের নিচে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করার। তবে আপনার যদি মনে হয় ডিওডোরেন্টে থাকা রাসায়নিক ত্বকের ক্ষতি করবে সেক্ষেত্রে একটি অ্যালুমিনিয়াম-মুক্ত অ্যান্টিপারস্পারেন্ট বেছে নিতে পারেন।
উরুতে: গরমে কমবেশি সবারই ঘাম হয়। এক্ষেত্রে উরুতেও ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। তবে উরুতে অতিরিক্ত ঘামের কারণে চুলকানি, জ্বালা ও চুলকানি হতে পারে। তাই যারা দৈনিক জিন্স পরেন তারা উরুতে কিছুটা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার বেছে নেওয়া ডিওডোরেন্টে যেন অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। অন্যদিকে নারীদের অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে গোপনীয় ও সংবেদনশীল স্থানগুলোতে যেন ডিওডোরেন্ট না লাগে।
নতুন জুতা পরার সময়: নতুন জুতা বা হিল পরলে ঘর্ষণ থেকে পায়ে ফোসকা পড়তে পারে। এক্ষেত্রে ডিওডোরেন্ট কাজে আসতে পারে। হিলে অল্প পরিমাণে স্প্রে করুন ডিওডোরেন্ট। এতে করে ঘর্ষণে ব্যথা ও ফোসকা পড়ার ঝুঁকি থাকবে না।
মশা কামড়ানো স্থানে: ডা. স্টিভেন গার্নারের মতে, মশা কামড়ানোর পর ত্বক ফুলে উঠলে ও জ্বালাপোড়া করলে উক্ত স্থানে সামান্য ডিওডোরেন্ট মাখতে পারেন। এতে থাকা অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড চুলকানি ও লালভাব কমাতে সাহায্য করবে। সূত্র: ব্রাইট সাইড