শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জুড়ীতে টিলা কাটার মহোৎসব ঝুঁকিতে ঘরবাড়ি কালীগঞ্জ বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন জামায়াতে ইসলামী এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কখনোই চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি সমর্থন করে না রায়গঞ্জে ভূমিহীন সম্মেলন ও আলোচনা সভা বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে মোংলায় এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালন মহাদেবপুরে কোটি টাকার চেক বিতরণ অপেক্ষা পরিণত হয়েছে আক্ষেপে, তবুও হয়নি পাকা রাস্তা শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সাবেক এমপি এম নাসের রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা শেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা ভালুকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির র‌্যালি ও আলোচনা সভা

মতিঝিল আইডিয়াল: ডেঙ্গু আক্রান্ত বহু শিক্ষার্থী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩

দরখাস্ত দিয়েও গুনতে হচ্ছে জরিমানা
রাজধানীর নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ঢাকায় এ প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে তিনটি। প্রত্যেকটি শাখার বহু শিক্ষার্থী এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত। এরই মধ্যে ডেঙ্গুতে মতিঝিল আইডিয়ালের তিন শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু হয়েছে। আবার কারও কারও ডেঙ্গু পজিটিভ না এলেও ভুগছে ভয়াবহ জ্বরে। সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটছেন অভিভাবকরা। ফলে দীর্ঘদিন ক্লাসের বাইরে থাকছে শিক্ষার্থীরা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত বা জ্বরে ভোগা এসব শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনুপস্থিতির কারণে গুনতে হচ্ছে জরিমানা। দরখাস্ত দিলেও অনেক সময় বেতনের সঙ্গে জরিমানার টাকা যোগ করে রশিদ দেওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়ে জরিমানার টাকাও পরিশোধ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
সহকারী প্রধান শিক্ষকদের দাবিÍ শ্রেণিশিক্ষকরা বেতন ও জরিমানার হিসাব করে থাকেন। অনেক সময় তারা না বুঝে জরিমানা আদায় করতে পারেন। এমন ঘটনা বা অভিযোগ থাকলে স্ব স্ব শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক বরাবর দরখাস্ত করলে এবং যথাযথ কাগজপত্র জমা দিলে জরিমানা মওকুফ করা হবে।
আমার ছেলে ও মেয়ে দুজনই ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল। ওরা বনশ্রী ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে। ডেঙ্গু আক্রান্তের পর দরখাস্তও দিয়েছি। তবুও অনুপস্থিতির জন্য একজনকে ১২৪০ টাকা এবং আরেকজনকে ৬২০ টাকা জরিমানা করেছেন শ্রেণিশিক্ষক। আমার অনুরোধও রাখেননি।
আবু নাসের চৌধুরীর ছেলে এবং মেয়ে দুজনই মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থী। দুজনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ফলে ক্লাস করতে পারেনি প্রায় দেড় সপ্তাহ। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ও মেয়ে দুজনই ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল। ওরা বনশ্রী ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে। ডেঙ্গু আক্রান্তের পর দরখাস্তও দিয়েছি। তবুও অনুপস্থিতির জন্য একজনকে ১২৪০ টাকা এবং আরেকজনকে ৬২০ টাকা জরিমানা করেছেন শ্রেণিশিক্ষক। আমার অনুরোধও রাখেননি। একপর্যায়ে বেতন না দিয়েই আমি স্কুল থেকে চলে এসেছি।’
রোজিনা পান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে প ম শ্রেণিতে পড়ে। ওর বাবা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। আমার আরেকটা ছোট বাচ্চা আছে, সেও ডেঙ্গু আক্রান্ত। বাসায় আর কেউ নেই। আমিই স্বামী ও ছোট সন্তানকে নিয়ে ১৭ দিন হাসপাতালে ছুটেছি। এমন বিপদের মধ্যে ছেলেটাকে কে স্কুলে নিয়ে যাবেন? কিংবা ও কীভাবে এমন পরিস্থিতিতে ছেলেটা স্কুলে ক্লাস করবে? সব বিষয় শিক্ষকদের জানানো হলেও শিক্ষকরা জরিমানা করেছেন। সামনে বেতনের সঙ্গে জরিমানার টাকা দিতে হবে। আমি শুধু জানতে চাই- এমন পরিস্থিতিতে কী এত টাকা জরিমানা করা বিবেক সম্মত?’
ইয়াসিন খান নামে এক অভিভাবক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘অবিলম্বে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা উচিত। আমার দুই সন্তান এ স্কুলের ছাত্র। আমরা অত্যন্ত চিন্তিত।’ তার পোস্টের নিচে তুহিন আজাদ নামে আরেক অভিভাবক মন্তব্য করেছেন, ‘স্কুল ছুটি দিলে অনুপস্থিতির জরিমানার যে ব্যবস্তা সেটা কীভাবে হবে? আয়েশা রুবাসহ আরও ২০ থেকে ২২ জন একই রকম মন্তব্য করেন। ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যে হয় স্কুল বন্ধ না হলে জরিমানা আদায় বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
জানতে চাইলে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার ইংরেজি ভার্সনের (দিবা) সহকারী প্রধান শিক্ষক কলিম মুহাম্মদ মূর্শেদ বলেন, ‘তিনমাস পর পর আমরা জরিমানার টাকা আদায় করে থাকি। জুন মাসের পর আমরা ডেঙ্গু বা অসুস্থতাজনিত কারণে কেউ দরখাস্ত করলে জরিমানা নিচ্ছি না।’
অভিভাবকদের কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তার দৃষ্টিগোচর করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই অভিভাবকরা যেহেতু অভিযোগ করছেন, রোববার (২০ আগস্ট) স্কুল সময়ে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলবেন। আমি তাদের জরিমানাটা মওকুফ করে দেবো।’
তার মানে ডেঙ্গু হলেও জরিমানা নিচ্ছেন আপনারা- এমন প্রশ্নের জবাবে এ সহকারী প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বিষয়টি ঠিক তেমন নয়। এ জরিমানাটা তো আমাদের শ্রেণিশিক্ষকরা করে থাকেন। হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। ভুলে জরিমানা করে থাকতে পারেন। এমন হলে আমরা সেটা (জরিমানা) বাতিল করে দেবো।’
ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫ শতাধিক, জ্বর হাজারও শিক্ষার্থীর: মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শাখা, মুগদা ও বনশ্রী মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘সচেতন অভিভাবক ফোরাম’ নামে একটি পেজ রয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়া নিয়ে অনবরত তথ্য শেয়ার করছেন অভিভাবকরা। কেউ রক্তের গ্রুপ জানিয়ে সন্তানের জন্য সহযোগিতা চাইছেন। আবার কেউ এমন পরিস্থিতিতেও জরিমানা দিতে হচ্ছে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ধারণার চেয়েও বেশি ছাত্র-ছাত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। আবার জ্বরে ভুগছে বহু শিক্ষার্থী। অভিভাবকরা আপাতত স্কুল বন্ধ রাখার দাবিও জানাচ্ছেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমা পর্যন্ত স্কুল যেন বন্ধ রাখা হয়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবেন গভর্নিং বডির সদস্যরা।
মতিঝিল আইডিয়ালের গভর্নিং বডির সদস্য মো. শাহাদাত ঢালী। গত ১৬ আগস্ট তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত ও জ্বরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম, শ্রেণি, শাখার তথ্য চেয়ে ৩৭ হাজার অভিভাবকের এ ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেন। সেখানে সাড়ে চারশো অভিভাবক তাদের সন্তানদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। এর বাইরেও অসংখ্য শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলে জানান খোদ ওই গভর্নিং বডির সদস্যই। অনেকে ডেঙ্গু পজিটিভ না হলেও ভয়াবহ জ্বরে আতঙ্কিত বলেও জানান তিনি।
শাহাদাত ঢালী বলেন, ‘যেভাবে অভিভাবকরা আতঙ্কিত, তাতে আমরাও উদ্বিগ্ন। যেহেতু এত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়, তাই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত বা অসুস্থ তার একটা ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দেখলাম- ধারণার চেয়েও বেশি ছাত্র-ছাত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। আবার জ্বরে ভুগছে বহু শিক্ষার্থী। অভিভাবকরা আপাতত স্কুল বন্ধ রাখার দাবিও জানাচ্ছেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমা পর্যন্ত স্কুল যেন বন্ধ রাখা হয়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা।’
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী বলেন, ‘আমরাও খবর পাচ্ছি- বহু শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। বিশেষ করে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বেশি আক্রান্ত। এটা স্কুল নাকি বাসা থেকে হচ্ছে, সেটা তো বলার সুযোগ নেই। আমরা ডেঙ্গুর প্রকোপের এ সময়ে স্কুলে সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আইসিইউতে অনেকে: ডেঙ্গুতে গত ৩০ দিনের মধ্যে মতিঝিল আইডিয়ালের তিন শিক্ষার্থী মারা গেছেন। মৃত্যুর পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। মারা যাওয়া তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজনই বনশ্রী শাখার। গত ১৬ জুলাই বনশ্রী শাখার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশাত আজহার মারা যায়। ৩১ জুলাই মারা যায় মতিঝিল শাখার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী বনি আমিন। সর্বশেষ ১৪ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বনশ্রী শাখার তৃতীয় শ্রেণির ইংরেজি ভার্সনের ছাত্রী আফিয়া জাহিনের মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে বেশি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী। গত দু-তিনদিনে এ প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন।
তাদের মধ্যে একজন ফাইয়াজ তানভীর। সে বনশ্রী শাখার ইংরেজি ভার্সনের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। গত ১৪ আগস্ট তার ডেঙ্গু পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ফাইয়াজকে মালিবাগের নিউ সার্কুলার রোডের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে তার মায়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেন জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক।। কল রিসিভের পর ‘আপনি ফাইয়াজের আম্মু বলছিলেনৃ’ প্রশ্ন করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ফাইয়াজ কেমন আছে এখন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ও ভালো নেই। এখনো আইসিইউতে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন আমার বাবুটা দ্রুত সুস্থ হয়ে আমার কোলে ফিরে আসে।’
বনশ্রী শাখার ইংরেজি ভার্সনের তৃতীয় শ্রেণির ‘এ’ সেকশনের ছাত্রী সিদরাতুল মুনতাহা মুনও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে ভর্তি। সে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন বলে জানান তার অভিভাবক মাহিমা রহমান।
নুরুল ইসলাম বাবলু নামে আরেক অভিভাবক ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘বনশ্রী শাখার দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি ভার্সনের ছাত্রী তাজকিয়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তার প্ল্যাটিলেট কমে যাচ্ছে। তার জন্য এ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন।’
একের পর এক শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় এবং তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। অনেকে স্কুল বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। আবার অনেকে বলছেন- ডেঙ্গুও করোনাভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করেছে। করোনাকালে যেমন অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হয়েছিল, এখনো তেমনটা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তারা।
আয়েশা আশরাফ নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে দুই সপ্তাহ ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল। ডেঙ্গু নেগেটিভ আসার পর কয়েকদিন স্কুলেও গেলো। আবার জ্বর এসেছে ওর। রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্ল্যাটিলেট কমে যাচ্ছে। শরীর দুর্বল। এমতাবস্থায় ছেলেটাকে স্কুলে দেওয়া সম্ভব নয়। অনলাইনে ক্লাস হলেও বাসায় বসে শিখতে পারতো। আগে তো জীবন তারপর পড়াশোনা।’
ফাহিমা রহমান নামে আরেক অভিভাবক বলেন, ‘ডেঙ্গু ও সিজনাল ভাইরাস জ্বরে বাচ্চারা অসুস্থ হচ্ছে। রেগুলার কেউ স্কুলে যেতে পারছে না। স্কুল বন্ধ রাখা উচিত। সেটা যদি সম্ভব নাও হয়, তাহলে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য জরিমানা মওকুফ করা হোক- এটাই আমাদের দাবি।’
জরিমানাটা তো আমাদের শ্রেণিশিক্ষকরা করে থাকেন। হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। ভুলে জরিমানা করে থাকতে পারেন। এমন হলে আমরা সেটা (জরিমানা) মওকুফ করে দেবো।
স্কুল বন্ধের বিষয়ে বনশ্রী শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক (ইংরেজি, দিবা) কলিম মুহাম্মদ মূর্শেদ বলেন, ‘স্কুল বন্ধ রাখা হবে কি না, এ সিদ্ধান্ত তো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ, এটা সত্য যে বহু শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত। এটা (ডেঙ্গু) স্কুল থেকে ছড়াচ্ছে এমনটা নয়। বাসা-বাড়ি থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেশি। সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।’
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী বলেন, ‘হুট করে স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া তো সম্ভব নয়। সরকারের নির্দেশনা দরকার। আমরা চাইলেই এটা করতে পারি না। সরকার যদি মনে করে- ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে কিছুদিন বন্ধ রাখতে হবে, তেমন নির্দেশনা পেলে অন্যদের মতো আমরাও বন্ধ রাখবো।’-জাগোনিউজ২৪.কম




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com