ভারত তাদের পেঁয়াজ রফতানি নিরুৎসাহিত করার জন্য রবিবার (২০ আগস্ট) ৪০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে একদিনেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভারত ছাড়াও বিশ্বের যেকোনও দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বাজার মনিটরিংয়ের দুর্বলতা অস্বীকার করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘খোলাবাজার অর্থনীতিতে আপনি কতটা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন? এটা তো রেজিমেন্টেড সরকার না, রাশিয়া ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সরকার নয়। ইচ্ছা করলেই আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। এটা চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুটি উপায়ে আমরা এ সমস্যাটা সমাধান করতে চাচ্ছি। এক হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি করা। দ্বিতীয় হচ্ছে, পেঁয়াজকে দীর্ঘ সময় পচন থেকে রক্ষা করা।’ কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধানে আমাদের হাতে কিছু নেই। একটাই আছে, তা হলো অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বাজার শক্তভাবে মনিটর করতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ কবে নাগাদ আমদানি করা হবে, এ প্রশ্নে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘যারা আমদানি করে তারা কাল থেকেই করতে পারে। যে কেউ যদি ইমিডিয়েট চীন, জাপান, ইরান থেকে পেঁয়াজ আনতে চায়, আমরা তাদের আইপিও দেবো।’