ফরিদপুরের নগরকান্দা – মুকসুদপুর সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, দেখার যেন কেউ নেই। সড়কের পৌরসভা অংশের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা, জনগনের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। সড়কের বেশির ভাগ অংশের পিচ, পাথর উঠে গিয়ে সুড়কি বালু বেড়িয়ে গেছে। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। বিশেষ করে নগরকান্দা বাজার থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত চলাচলে একে বারেই অনুপয়োগি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে গর্তে পানি জমে রয়েছে, চেনা যায় না কোথায় ভাল সড়ক আর কোথায় গর্ত। আবার এখন কাদা পানির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারনের। এ ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বড় বড় গর্তের ফলে বড় বড় ডোবায় পরিণত হয়েছে, যান চলাচল বিঘœসৃষ্টি হচ্ছে, অনেক বাস ট্রাক গর্তে পড়ে আটকিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ইজিবাইক, নছিমন, মটরসাইকেল প্রায় দিনই উল্টে যাচ্ছে। আবার অনেক সময় সড়কেই যানবাহন অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকদের। দিন রাত ২৪ ঘন্টা যানবাহন চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। এমন কোন যানবাহন নেই যা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে না। সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসছে না। প্রায় এক বছর এ সড়কটি চলাচলে অনুপোযোগি হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারীরা নিরাপদে আসা-যাওয়ার ভাবনায় এখন মহাচিন্তিত। বর্তমানে সড়কটি খানাখন্দ নিয়ে চলাচল করছে। রাস্তায় খানা খন্দের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় যাত্রীরা জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে চলাছল করছে এই সড়কে। ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মুন্সী জানান, সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তায় সমস্যার কারণে হাসপাতালে যেতে অসুস্থ রোগী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অটো চালক মনির বলেন চলাচলে অনুপযোগী এই সড়কে গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে লোকসান গুনতে হয় এবং শারীরিক ভাবেও ব্যাথা বেদনার কারণে গাড়ি চালাতে তেমন আগ্রহ থাকে না। একটু বৃষ্টি হলেই গাড়ি চলাচলতো দুরের কথা রাস্তায় হাঁটা ও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। রাস্তা ভেঙ্গে ডোবা হয়ে যাচ্ছে, কর্তৃপক্ষের নজর নেই। সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি। নগরকান্দা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় চলাচলেরর একমাত্র ভরসা এই সড়ক। প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে বাস, ট্রাক, মিনিবাস, পিকআপ, মাহিন্দ্র ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, ট্রলি ও মোটর সাইকেলসহ সব ধরনের যাবাহন চলাচল করে। অনেক গাড়ি বিকল হয়ে সড়কের উপরে পড়ে থাকে। গাড়ির যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্থথ হয়। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় বালিয়া, জগদিয়া, কোদালিয়া, ঈশ্বরদী, ছোট পাইককান্দী, মাঠ বালিয়া, ভাজনকান্দা গ্রামের লোকজন সকাল, সন্ধ্যা পর্যন্ত চলাচল করে থাকে নিয়মিত। তাদের কষ্টটাই সব চাইতে বেশি। কারন তাদের এক টাকার জিনিসপত্র কিনার জন্য নগরকান্দা বাজারেই আসতে হয়। সেই সাথে এই দূর্ভোগপোহাতে হয়। নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, নগরকান্দা- মুকসুদপুর, জয়বাংলা সড়কে পৌরসভার অংশ ব্যাতীত বাকি অংশটুকু এল জি ই ডির পক্ষ থেকে সুন্দরভাবে করা হয়েছে । পৌরসভার অংশটুকু নগরকান্দা পৌরসভা দেখভাল করে। নগরকান্দা পৌরসভার প্যাণেল মেয়র জাকির হোসেন জাকারিয়া বলেন, আমরা নগরকান্দা পৌরসভার পক্ষ থেকে লিখিতভাবে- নগরকান্দা-জয়বাংলা সড়কের পৌরসভা অংশটুকু এলজিইডির নিকট হস্তান্তর করেছি। এলাকার ভুক্ত ভোগীদের দাবি এল জি ই ডি এবং পৌরসভার মধ্যে এই সব ঠেলাঠেলি না করে সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করে যানবাহন চলাচল উপযোগী করার।