নেত্রকোণায় অসচ্ছল পাচঁ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বীর নিবাসের কাজ বন্ধ থাকায় ছাবরা ঘরে ভোগান্তিতে তাদের বসবাস। এই নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে ৫ পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনে জানা যায় সদর উপজেলার মেদনী ও আমতলা ইউনিয়নে ৫জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মধ্যে তিনটি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় হঠাৎ করে ঠিকাদারের মৃত্যু হয়ে যায়। এর পর থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে বর্তমানে বর্ষাকাল থাকায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা ৫ পরিবারের মধ্যে মেদনী ইউনিয়নের গজিনপুরের ১. বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোঃ আলী উসমান আহম্মেদ ২. জঙ্গল বড়ওয়ারী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বগ্রীয় প্রাণেশ চন্দ্র দাস ৩. খারবাংলা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল হেকিম ৪. টেংগা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ এবি সিদ্দিক ৫. আমতলা ইউনিয়নের শিবপ্রশাদপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম খোদা নেওয়াজসহ তারা চারজন নিয়তির ডাকে সারা দিয়ে পৃথিবী থেকে সম্মানের সাথে বিদায় নিয়েছেন। তাদের পরিবার পরিজন বীর নিবাসের আশায় বসত ঘর ভাঙ্গিয়া বাড়িতে টিনের জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করা ঘর, যা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাড়ির একমাত্র ঘরটি তাদের বেহাল হওয়ায় অতিকষ্টে দিন পার করছে । বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বগ্রীয় প্রাণেশ চন্দ্র দাস এরঁ সন্তান সুজন চন্দ্র দাস বলেন ‘আমরা অত্যান্ত গরিব শ্রেণীর মানুষ। বাড়ির একমাত্র ঘরটি বেহাল হওয়ায় অতিকষ্টে দিন পার করছি। আমাদেরকে শান্তিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দেবেন এটি প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা কামনা করছি। অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য হিসেবে তারা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এই নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন পিআইও সাথে যোগাযোগ করে বীর নিবাসের কাজটি দ্রুত শেষ করার ব্যবস্থা করবো।