জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সফল রাষ্ট্রনায়ক সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের (জাপা) দীর্ঘদিন দখলে ছিল গাইবান্ধা-৪(গোবিন্দগঞ্জ) আসন।এরপর যোগ্য প্রার্থীর অভাবে এ আসনটি হাতছাড়া হয়।জাতীয় পার্টির আর্শিবাদ নিয়ে এ আসনটি পুনরুদ্ধারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান অধ্যক্ষ কাজী মোঃ মশিউর রহমান। পার্টির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কাজী মশিইর রহমান জাতীয় পার্টি (এরশাদ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইতিমধ্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৭টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়াডের্র নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে ধারাবাহিক মত বিনিময় ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাজী মশিউর রহমান রংপুর স্বদেশ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও একটি প্রাইভেট নাসিং কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা নাকাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর নিজেকে জনসেবায় নিয়োজিত রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও দলের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে ২০১৩ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। নাকাই ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য ফজলুল করিম বলেন, বিগত ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা -৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসন জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। কিন্তু পার্টির সদস্যদের চরম উদাসিনতার কারনে আসনটি হাত ছাড়া হয়।এ কারণে তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টিকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহন করেন। ইতিমধ্যে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে পার্টিকে উজ্জীবিত রেখে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।ফলে বিরান ভূমিতে পরিনত হওয়া জাতীয় পার্টি এখন স্বর্গভূমি। উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মোল্লা বলেন, কাজী মশিউর রহমান রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন।স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে তার নানা ধরণের সহযোগিতার কথা সবার মুথে মুখে। এই জনসেবা মূলক কাজের ধারা আব্যাহত রাখতে আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ব্যাপক গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। মশিউর রহমান জানান, লাঙ্গল হারানোর গৌরব এবার তিনি উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন।