বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সরকার তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে আদালতকে ব্যবহার করছে এক দমনের যন্ত্র হিসেবে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আদালত, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানসহ বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা এখন আজ্ঞাবহ আদালতের কোপানলে সাজা ও বন্দীর শিকার হচ্ছেন। এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য চূড়ান্ত মরণকামড়।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির মূল প্রতিপাদ্য ছিল গণতন্ত্র। কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা শুনলেই এ সরকার অস্থির হয়ে পড়ে। তাই স্বৈরাচারের উগ্রমূর্তির প্রতিফলনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতবিক্ষত। আইন, বিচার, আদালত, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছুই একাকার হয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোর ওপর সর্বগ্রাসী আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশ এখন চরম সঙ্কটে। দেশ এখন ডেঙ্গু জ্বরে কাঁপছে। ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে মৃত্যুর সংবাদই এখন প্রধান বিষয়। এরই মধ্যে হাসপাতালে সর্বোচ্চ ভর্তি ও সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। প্রতিদিন গড়ে ২০ জনের অধিক লোক ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে শুধু ডেঙ্গুতে ৭০০ -এর অধিক লোক মারা গেছে। অবৈধ সরকারের উদাসীনতার কারণেই লাশের সারি ক্রমান্বয়ে প্রসারিত হচ্ছে। কিন্তু সরকার সম্পূর্ণরুপে নিস্পৃহ ও নির্বিকার। অথচ এই রোগ শত ভাগ প্রতিরোধযোগ্য। শুধুমাত্র সরকারের দুর্নীতি ও অবহেলার কারণে এই রোগ এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ভারতে চাঁদে যেতে খরচ হয় ৬৫১ কোটি টাকা, অথচ বাংলাদেশে মশা নিধনের বাজেট প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। এ সরকারের লোকজন আরব্য রজনীর গল্পকথাকেও হার মানিয়েছে। ইতোমধ্যে খরচ হওয়া টাকা ক্ষমতাসীন দলের লোকজনই লুটে নিয়েছে।