নাটোরের অবিসংবাদিত আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক এমপি ও জেলা গভর্নর শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর ২৮তম প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে শহরের নীচাবাজারস্থ প্রয়াত নেতার নিজ বাসভবন এবং সদর উপজেলার ছাতনী শ্মশানবেদিতে জেলা আওয়ামী লীগ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সহ বিভিন্ন রাজনতৈকি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেেক পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর সর্ব কনিষ্ঠ মেয়ে রক্তিমা চক্রবর্তী শেলী। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগ এবং পূজা উদযাপন পরিষদ সহ বিভিন্ন রাজনতৈকি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্বর্গীয় নেতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা, আলোচনা এবং প্রার্থনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্ত্তজা আলী বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মালেক শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রসাদ কুমার তালুকদার বাচ্চা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি বাবু চিত্ত রঞ্জন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট খগেন্দ্র নাথ রায়, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিউটি আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম নান্টু, নাটোর রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী সাংবাদিক জালাল উদ্দিনসহ সহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ১৯২৬ সালের ৪ মার্চ নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের ভাবনী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন ছাতনীর জমিদার জ্ঞানদা গোবিন্দ চৌধুরী। তিনি (শংকর গোবিন্দ চৌধুরী) ১৯৫৪ সালে রাজনীতিতে যোগদান করেন। ৬৬’র ছয়দফা আন্দোলনের সময় তিনি একবছর কারাভোগ করেন। এরপর নাটোর পৌর সভার কমিশনার ও পরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে এমসিএ নির্বাচিত সহ ৭তম জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় জেলা গর্ভনর নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের এই দিনে তিনি পরলোকগমন করেন। প্রতি বছর এই দিনটিতে নানা আয়োজনের মাধ্যমে প্রিয় এই মানুষটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন নাটোরবাসী। শংকর গোবিন্দ চৌধুরী মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামীলীগ নেতা স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন নাটোরের সব ধর্মের মানুষের ও সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী প্রিয়জন- শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব । অন্যের দুঃখে তিনি হতেন ব্যথিত। বিপদগ্রস্থ মানুষের সাহায্যে ছুটে যেতেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শুন্যতা এনে দেয় তা অপূরণীয়।