পথের ধারে একটি আম গাছ। চারদিকে মেলেছে ডালপালা। ছাতার মতো দিয়েছে প্রশান্তির ছায়া। আর মৌসুম সময়ে ছড়িয়ে পড়ে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দেয় থোকা থোকা আম। পথিকেরা কুড়িয়ে খায় পরিপক্ক আমগুলো। সুন্দর এই পরিবেশে কয়েক যুগ ধরে দাঁড়িয়ে চিরচেনা এই গাছটি। এরই মধ্যে প্রশান্তির দেওয়া সেই আম গাছটি কাটার প্রস্তুতিতে এলাকায় শুরু হয়েছে উত্তেজনা। সরেজমিনে মঙ্গলবার বিকেলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নাগবাড়ী বাজার থেকে বুড়ির বাজার সড়কের চিকনী বাজার সংলগ্ন ওই আম গাছটি দেখা গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কয়েক যুগ আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি রাস্তার পাশে রোপণ করেছিলেন ওই আম গাছটি। সেটি ধীরে ধীরে বড় হওয়ার পর এখানে চিকনী উত্তরপাড়া জামে মসজিদ নির্মিত হয়। এরই ধারাবাহিকতার একপর্যায়ে মসজিদটির উন্নয়ন কল্পে গাছটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদ কমিটির সদস্যরা। এদিকে, স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির দাবি গাছটি মসজিদের নয়, রাস্তার। ফলে গাছটি না কাটার জন্য বাঁধা প্রদান করেন তারা। সম্প্রতি এই আমগাছ কাটার প্রস্তুতিতে শুরু হয়েছে দিধাদ্বন্দ¦। অধিকাংশ মানুষ বা মুসল্লিরা বলছেন-এটি মসজিদের গাছ। আবার কেউ বলছেন রাস্তার গাছ। এমন মতানৈক্যর কারণে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা পরিস্থিতি। এ বিষয়ে মসজিদ সংলগ্ন স্থানের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার হারুন বলেন, গাছটি এলাকার পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করে রাস্তার সীমানায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটি কেটে ফেলা মোটেও কাম্য নয়। চিকনী উত্তরপাড়া জামে মসজিদের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. হবিবর রহমান বলেন, আমাদের মসজিদের জায়গায় ওই আম গাছটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটি রাস্তার সীমানায় নয়। তাই মসজিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বসম্মতিতে গাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ (কাওছার মন্ডল) বলেন, ওই আম গাছটি কেটে ফেলার প্রস্তুতি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে গ্রামপুলিশ পাঠানো হয়। গাছটি মসজিদের নাকি রাস্তার সেটি খতিয়ে দেখা হবে।