রংপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির বিভাগীয় মিডিয়া ফোরামের অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এ সভা থেকে সমাজের পিছিয়ে পড়া লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। সভায় বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন-বন্ধুর পাবলিক রিলেশন এন্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার রুহুল রবিন খান, নবপ্রভাত ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইয়াছিন আলী, ন্যায় অধিকার ট্রান্স-জেন্ডার উন্নয়ন সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ হোসেন শ্রাবণ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বন্ধু মিডিয়া ফেলো ও জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার জিতু কবীর, বন্ধু মিডিয়া ফেলো ও ঢাকা পোস্টের স্টাফ রিপোর্টার ফরহাদুজ্জামান ফারুক, বন্ধু মিডিয়া ফেলো ও ডেইলি অবজারভারের রংপুর প্রতিনিধি লাবনী ইয়াসমিন, বাংলাভিশনের রংপুর ব্যুরো জুয়েল আহমেদ, বণিক বার্তার রংপুর প্রতিনিধি এস.এম পিয়াল, প্রতিদিনের বার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রাজু আহমেদ, ডিবিসি নিউজের রংপুর ব্যুরো মাজেদ মাসুদ, আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার সহ-সম্পাদক আফরোজা সরকার, প্রতিদিনের বার্তার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান আফজাল, সোনালী নিউজের রংপুর ব্যুরো একেএম সুমন, যুগের আলোর মহানগর প্রতিনিধি বর্ণালী জামান বর্ণা প্রমুখ। বন্ধুর সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার মশিউর রহমান জানান, আগামী পাঁচ বছরে সমতা প্রকল্প লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অধিকার, অগ্রগতি এবং জিডিপির জন্য তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করবে। পাঁচ বছরে সমতা প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকারের সুবিধা পাবে দেশের ৮ হাজার ৮০০ জন লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী। সেই সঙ্গে ৪ হাজার ৭৫০ জন পেশাজীবী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং ২০ লাখ সাধারণ মানুষকে লিঙ্গ বৈচিত্র্যময়তা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করবে সমতা প্রকল্প। অন্যদিকে বক্তারা বলেন, লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর পিছিয়ে থাকার নেপথ্যে পারিবারিক, আর্থসামাজিক, শিক্ষা ব্যবস্থা, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া অন্যতম কারণ। তবে সরকার এ জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে। সর্বোপরি তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় এনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদেরকে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এই জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে। সমাজের সবাই যার যার জায়গা থেকে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে একটু সহানুভূতি থেকে এগিয়ে এলে মূল স্রোতধারায় পৌঁছাতে পারবে লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম বা মিডিয়া সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আলোচনায় লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সাংবিধানিক অধিকার, রাষ্ট্রীয় আইন, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পর্কিত সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরা হয়। অবহেলিত এ জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারার এগিয়ে নিতে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি বন্ধুর সমতা প্রকল্প কাজ করছে। সমতা প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে সহায়তা করছে।