শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বার্তা না পেলে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আমরা করে যাচ্ছি। হরতাল-অবরোধ শান্তির প্রবক্তারাই চালু করেছে। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বুঝে তাহলে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নার্সেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এক আলোচনা সভা ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, হরতাল অবরোধ কোন সহিংস কর্মসূচি না। হরতাল-অবরোধ শান্তির কর্মসূচি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে একটি অবৈধ সরকারকে অচল করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভীতিকর অসুস্থ সমাজ তৈরি করেছে। ভীতি ও আতঙ্কের অন্ধকার রাত তৈরি করে তিনি আরেকটি নির্বাচন করে নিজে নিজে প্রধানমন্ত্রী ও সরকার গঠন করার পাঁয়তারা করছেন। তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আদালতের কার্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গায়েবি মামলা দেখে আমরা তা বুঝতে পারছি।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা নানা দুঃশাসন দেখেছি, এই দেড় দশকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা তাণ্ডব দেখেছি। আমরা তাণ্ডব দেখেছি সশস্ত্র যুবলীগ ছাত্রলীগের। তারা আবরারকে হত্যা করে কিভাবে নৃত্য করেছে। আমরা দেখেছি ২০০৬ সালে লাশের উপর নৃত্য করতে। তাদের সেই নৃত্য এখনো থামেনি এখনো চলছে। তাদের যুবলীগ ছাত্রলীগ দ্বারা গঠিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আরেকটি যুক্ত হয়েছে আদালতের বিচারকরা। তারা আরো নিষ্ঠার সঙ্গে শেখ হাসিনার পৈশাচিক স্বৈরতন্ত্রের স্বপক্ষে নেমে একের পর এক সাজা দিচ্ছে। যেখানেই দেখি হাইকোর্ট জজকোর্ট সেখানেই তাদের ছাত্রলীগ যুবলীগের লোক। এই সমাজে কি আর কেউ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় চান্স পায় না? শুধু তারাই চান্স পাবে? যারা সক্রিয় রাজনীতি করে তারা খুব কম চান্স পায়। কিন্তু একটিমাত্র দলের তারা সবাই চান্স পায়। বিসিএস পরীক্ষায় ভেরিফিকেশনে গেলে পুলিশ দেখে সেই ছেলেটা আওয়ামী লীগ পরিবারের নাকি। যদি দেখে তার কেউ কোন আত্মীয় বিএনপি করে তাহলে সে চান্স পায় না। তাকে ক্যাডার বানানো হয় না। এইজন্য ফ্যাসিস্ট দের সাথে জনগণ পেরে ওঠে না।
তিনি বলেন, এই সরকারের পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সংগঠনের সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ।