একসাথে চার সন্তানের জন্ম দিয়ে রিতীমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা আক্তার পুতুল(২৪)। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিয়েছেন মুক্তা। চার নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে-সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা। এদিকে মা সুস্থ থাকলেও নবজাতকদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। শনিবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ এম আর তালুকদার মুজিব জানিয়েছেন, চারটি বাচ্চার মধ্যে একটির বেশি ওজন ও তিনজন কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। সব শিশুকেই অবজারবেশনে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এমনিতে বাহ্যিকভাবে দেখে শিশুদের সবকিছু স্বাভাবিক ও ভালো মনে হচ্ছে। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো শিশু শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। কারণ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বাভাবিক একটি শিশুর যে ওজন থাকার কথা, তা কারোরই নেই। তাই চারটি শিশুকেই হাসপাতালের নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। অপরদিকে শিশুদের মা মুক্তা সুস্থ রয়েছেন জানিয়ে মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাতটায় দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা ও বাহরাইন প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী মুক্তাকে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওইদিন দুপুরে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিয়েছেন মুক্তা। অপরদিকে একসঙ্গে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় সিদ্দিক-মুক্তা দম্পতির পরিবার ও স্বজনরা সবাই খুশি। মুক্তার মা মায়া বেগম বলেন, একটা বা”চা কিংবা একসঙ্গে দুইটা বাচ্চা হওয়ার কথা শুনেছি। কিন্ত এখনতো দেখলার একসঙ্গে চারটা সন্তান জন্মগ্রহণ করলো। তিনি তার নাতী ও মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। মায়া বেগম আরও বলেন, বিগত ১০ বছর পূর্বে তার মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয় সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। তাদের সংসারে সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।