মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বঙ্গপসাগরে প্রবল দমকা হাওয়া ও বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন সড়ক। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি জমে নগরীর বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন নগরবাসী। বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৭৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল নদী বন্দরে ১ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল বলেন, সকাল থেকে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে গেছে। কোথাও ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগেও বাতাস বইছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে নগরীতে পানি জমার কথা নয়। নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পানি জমতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পরেছেন পায়ে হেঁটে চলাচলকারী পথচারীরা। জলাবদ্ধতার কারন হিসেবে নগর কর্তৃপক্ষকে দুষছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পানি নামছে না। নগরীর বগুড়া রোডের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় বগুড়া রোডের এই সড়কটি। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করায় মূলত এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নগরীর কালিবাড়ী রোডের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, এতো বৃষ্টি হয়েছে অথচ নদীতে পানি নেই। কিন্ত বরিশাল নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না। তা না হলে যে পানি জমেছে তা নেমে যেতো। এ ব্যাপারে জানতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।