ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার চাঁচড়া মাঠপাড়া বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি ড্রাগন বাগানে বিষ প্রয়োগে ৩০ টি দেশি মুরগি নিধন এবং অন্তত ৫০ টির মত মুরগি অসুস্থ হাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।ওই গ্রামের ড্রাগন বাগানের মালিক মৃত রইছ আলী মন্ডল এর ছেলে মোঃ ইসরাইল হোসেন ওরফে ইসরা চাউলে বিষ মিশিয়ে তার জমিতে ছিটিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁচড়া মাঠপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শাপলা বেগমের ১৫ টি,কহিনুর বেগমের ৪ টি ইয়াসমিন খাতুনের ৪টি এবং জোৎস্না বেগমের ৭টি বড় দেশি মুরগি বিষ মিশনো চাল খেয়ে মারা গেছে বলে জানা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা আক্তার হোসেন ২০ নভেম্বর সকালে ইসরাইল হোসেনের স্ত্রী ঐ ড্রাগন বাগানে এসে বিষ মাখানো ছেটানো চাউল মাটির সাথে মিশিয়ে যেতে দেখেন বলে জানান। ভুক্তভোগী কয়েকজনের মধ্যে শাপলা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, বাড়ির পাশে ইসরাইল হোসেন ১৯ নভেম্বর ড্রাগন বাগানে পেঁয়াজ রসুন ও শাকের বীজ রক্ষা করতে চাউলে বিষ মাখিয়ে তা জমিতে ছিটিয়ে রাখেন। বিষ মাখানো ওই চাউল খেয়ে এই পাড়ায় আমারসহ অনেকের মুরগি মারা গেছে। বাড়িতে ধানের কাজে ব্যস্ত থাকাই ব্যাপারটি আমরা খেয়াল করতে পারিনি। গতকাল সকালে আমরা নিজ নিজ মুরগির ঘরে এবং ড্রাগন বাগান ও তার আশপাশে যেয়ে শেয়ালে খাওয়া কয়েকটি মুরগির দেহবাশেষ দেখে জানতে পারি। এখনো বেশ কয়েকজনের মুরগি অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। জানিনা সেগুলোর কি অবস্থা হবে। আমরা বিষ প্রয়োগকারী ইসরাইল হোসেনের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অভিযুক্ত ইসরাইল হোসেন বিষ প্রয়োগে মুরগি নিধন এর ব্যাপারে জানান, যেহেতু তাদের বাড়ির নিকট আমার ড্রাগনের বাগান রয়েছে, সেহেতু আমি এই কাজ না করলেও আমার দোষ হবে। আপাতত নিউজ বন্ধ করেন। গ্রাম পর্যায়ে একটি সালিশের কথা রয়েছে। দেখা যাক কি হয় সেখানে। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রেজাউল করিম জানান, বিষ প্রয়োগে গৃহপালিত পশুপাখি মারা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। ভুক্তভোগীরা তাদের মৃত মুরগি নিয়ে প্রাণিসম্পদ অফিসে আসলে আমারা মৃত মুরগির সুরতহাল করে দেবো। তাহলে তাদের অভিযোগের সত্যতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। একই সাথে ভুক্তভোগীদের থানায় একটি অভিযোগ দায়ের এর ব্যাপারে তিনি পরামর্শও দেন।