মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীতে পলোই দিয়ে মাছ শিকার উৎসব

আল আমীন (নালিতাবাড়ী) শেরপুর
  • আপডেট সময় সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩

হেমন্তে শুধু নবান্নই নয়, গ্রাম-বাংলার আরও একটি ঐতিহ্য নদীতে পলোই দিয়ে মাছ শিকার যাকে বলে বাহৈত উৎসব। এতে অংশ নেন কয়েক গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মাছ শিকারি। এ উৎসব প্রতি বছরই নজর কাড়ে ভোগাই নদীর দুই তীরের মানুষের। কারও কাঁধে পলো, কারও হাতে ঠেলা জাল কারো হাতে বিছান জাল। মাছ ধরার আরও নানা রকম সরঞ্জাম রয়েছে অন্যদের হাতে। চলছে অগ্রহায়ণ মাস। নদ-নদীর পানি কমে প্রায় তলানিতে নেমে গেছে। এলাকাবাসী মিলে আজ নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীতে মেতেছে মাছ শিকারিদের বাহৈত উৎসবে। তবে যারা ভোগাই নদীতে মাছ শিকারে আসে তাদের কেউই পেশাদার শিকারি না। সকলেই শখের বশে মাছ শিকার করেন। শেরপুরে মাছ ধরার এ উৎসব ‘বাহৈত’ নামে পরিচিত। নালিতাবাড়ী উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ে এমনই হল্লা করে বাহৈত উৎসবে মেতে ওঠেন দুই শতাধিক মানুষ। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর হেমন্তে ভোগাইসহ আশপাশের নদনদী ও খালবিলে শখের বশে মাছ শিকারে নামেন তারা। সবাই মিলে খেয়া জাল, বিছানো জাল ও পলো নিয়ে একযোগে হৈ-হুল্লোড় করে মাছ শিকারে অংশ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোগাই নদীতে মাছ শিকারে নামেন তারা। নদীর প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটি এলাকা পর্যন্ত চলে বাহৈত উৎসব। কথা হয় বাহৈত উৎসবে অংশ নেওয়া সাদিকুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন ও শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য, তারা মূলত কৃষি কাজে জড়িত। কিন্তু মাছ শিকার তাদের নেশা। এ নেশা থেকেই স্থানীয়দের সঙ্গে এসেছেন পলো দিয়ে মাছ ধরতে। দেড় ঘণ্টায় প্রায় দুই কিলোমিটার নদীপথে তাদের পলোতে একটিও মাছ আটকায়নি। তাতে কোনো আফসোস নেই তাদের। কয়েকজন ছোট ও মাঝারি আকারের দু-একটি আইড় মাছ পেলেও আনন্দের কমতি ছিল না। যুগ যুগ ধরে এ উৎসব করে আসছেন স্থানীয়রা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com