ছারছিনার পূর্ণ ভূমি স্বরূপকাঠি উপজেলা সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অন্যতম পবিত্র স্থান। দক্ষিণ বঙ্গের সবচেয়ে আলোচিত এবং সময়ের সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া জেপির প্রধান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সেই পূর্ণ ভূমির জন্য খেদমত করার মিশনে রয়েছে। স্বপ্নের মতো বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী পিরোজপুর-২ আসনে। স্বরূপকাঠি-কাউখালি ও ভান্ডারিয়া নিয়ে পিরোজপুর-২ আসন। পিরোজপুরের জেলার মধ্যে পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসন সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বহু বছর ধরে মহাজোটে থাকা জেপির দখলে রয়েছে এই আসন। এই আসনে জেপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নিজস্ব শস্য ভান্ডারের মতন। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথেই পিরোজপুর-২ আসনে নির্বাচনী আমেজ বইছে ইতিমধ্যে। অবশ্য বিএনপির অংশ গ্রহণ না থাকায় আহামরি জৌলুশ নেই বললেই চলে। তবে পিরোজপুর-২ আসনের বেশীরভাগ জনগণের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ছাড়া অন্য কেউই নৌকার মনোনয়ন পাবেন না। পিরোজপুর-২ আসনের নির্বাচনী হালচাল জানতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সাবেক মন্ত্রী এবং পাওয়ার ফুল নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সহ আরো চার থেকে পাঁচজন নৌকার মনোনয়ন চাইবেন। বলা বাহুল্য গত সংসদ নির্বাচনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পাশাপাশি আরও দুই চারজন মনোনয়ন চেয়েছিলেন। অবশ্য এবারে স্বরূপকাঠি উপজেলা সম্পৃক্ত হওয়ার পাশাপাশি পিরোজপুর-২ আসেনের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনে উল্লেখ যোগ্য ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসাহাক আলী খান পান্না মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। অবশ্য এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক মন্ত্রী মোঃ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমি মানুষের কল্যানে রাজনীতি করি। আমার জন্মভূমির জন্য মহাজোটের হয়ে জেপির প্রতিষ্ঠা হিসেবে মনোনয়ন চাইবো।আমি দলের প্রতিষ্ঠাতা অভিভাবক। আর সেই কারণে পিরোজপুর-২ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন চাইবো। শুধু আমি নই পিরোজপুর-২ আসনে যোগ্য ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারেন। অবশ্য মহাজোট থাকায় জেপি থেকে আমার অগ্রাধিকার বেশি। আমি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং মহাজোটের হয়ে পিরোজপুর-২ আসনের ভান্ডারিয়া- স্বরূপকাঠি ও কাউখালি উপজেলার অবহেলিত তিন উপজেলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন করার বাসনা আমার আছে। কেউ ঘোষণা না দিলেও আমি শুনেছি এই আসনে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা নৌকার মনোনয়ন চাইবেন। আর চাওয়াটা কোন ধরনের অপরাধ নয়।মহাজোট প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি যোগ্য দাবীদার। মহাজোটকে দেওয়া মানেই নেত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার বিশ্বাস যিনি মনোনীত হবেন সেই ব্যাক্তি অবশ্যই চলমান উন্নয়ন ও ডিজিটাল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা প্রধান। মহাজোট সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি বহু বছর ধরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশের রতœ।নৌকা আমাদের অহংকার, নৌকা আমাদের স্বাধীনতার প্রতিক। এই প্রতীকর প্রতি আমি শতভাগ আস্থাশীল। নৌকা প্রতিকে যিনি মনোনীত হবেন সে এই প্রতীকের মান সমুন্নত রাখার জন্য নিরলস কাজ করে যাবেন। নেত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করে যাবো।এদিকে বি এন পি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে পিরোজপুর-২ আসনে প্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট শিল্পপতি মোঃ ফকরুল আলম কিংবা ভান্ডারিয়ার কৃত্তি সন্তান বিশিষ্ট শিল্পপতি মোঃ মাহমুদ হোসাইনের নাম শোনা যাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী স্বরূপকাঠি উপজেলার বেশির ভাগ ভোটাররা গন মাধ্যমে কর্মীদের বলেন, সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা জেপির সভাপতি মোঃ নাজমুল ইসলাম সাঈদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বরূপকাঠি উপজেলার মাঠ দারুণ চাঙা। বিগত সময় থেকে দক্ষিণ বঙ্গের রতœ মাননীয় মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জেপির রাজনীতি করে যাচ্ছেন। বিগত সময় থেকেই দারুণ চাঙা করার গুরুত্বপূর্ণ মিশনে রয়েছে জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা জেপির সভাপতি। পাশাপাশি স্বরূপকাঠি উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীদের আর্শীবাদ, ভিডিএসের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ সহ গণমাধ্যম কর্মী আঃ রহিম প্রমুখের বদৌলতে স্বরূপকাঠি উপজেলার জেপি দারুণ ভাবে ঘুরে দাড়িয়েছেন। অবশ্য বর্তমান সময়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মাঠ দারুণ চাঙা করার গুরুত্বপূর্ণ মিশনে ছিল সভাপতি মোঃ সাঈদ ভাই সহ সকলের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। আর সেই কারণে সাধারণ নেতা কর্মীরাও আটঘাট বেধে নেমেছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে।