সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবী আদায়ে ও নির্বাচন কমিশন ঘোষিত একতরফা তফসিল প্রত্যাখান করা সহ অন্যায়ভাবে মির্থা মামলা দিয়ে আটক সকল নেতা কর্মীদের মুক্তি একদফা দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা ৬ষ্ঠবারের মত বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘন্টা অবরোধ সফল করার লক্ষে নগরীতে পৃথকভাবে বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি ও মহানগর ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল পিকেটিং করে। মঙ্গলবার (২১) নভেম্বর বিকাল ৪টায় সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গন থেকে এক ঝটিকা মিছিল বেড় করে মিছিলটি বরিশঅল ক্লাবরোড হয়ে বান্দরোডে গিয়ে শেষ হয়। অপরদিকে সকাল ১১টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম ভালেদা জিয়া সহ বরিশঅল মহানগর ছাত্র দল সভাপতি এ্যাড. রেজাউল করিম রনি সহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং আগামী কালের ৪৮ ঘন্টা অবরোধ সফল করার জন্য বরিশাল বাশিকে আহবান জানিয়ে নগরীর বান্দরোডে ঝটিকা মিছিল করে। বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির ঝটিকা মিছিলে বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবুল কালাম শাহিনের নেতৃত্বে এসময় আরো ছিলে বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক এ্যাড. কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চু, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম সেলিম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। এছাড়া মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দদের নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড. মীর জাহিদুল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদল আহবায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু সহ স্বেচ্ছাসেবকদল নগরীর বটতলা নভগ্রাম সড়কে দুপুর সাড়ে ১২টায় পিকেটিং মিছিল করে। এছাড়া মহানগর মৎস্যজীবী দল দুপুরে নগরীর ভাটারখাল এলাকায় পিকেটিং মিছিল করে।অন্যদিকে বরিশঅল জেলা ছাত্রদল সোহেল রাঢ়ির নেতৃত্ব হরতাল সমর্থনে মিছিল করে। এদিকে নগরীর অভ্যন্তরীন যানবাহন চলাচল করা সহ অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক ভাবে খোলা ছিল। অন্যদিকে বরিশাল নৌ-বন্দরে যাত্রী সংকটের কারনে অভ্যন্তরীন রুটের অধিকাংশ লঞ্চ ঘাটে বাধা ছিল। অন্যদিকে নগরীর কেন্দ্রীয় নতুল্লাবাত বাস টারমিনাল থেকে ঢাকা-খুলনা রুটের দুরপাল্লার যাত্রীবাহি বাস পূর্বের মত চলাচল করতে দেখা যায়নি। মাঝে মধ্যে কাটা লাইনের দু’একটি বাস টারমিনাল থেকে ছেড়ে গেলেও সেখানে যাত্রীদের চেয়ে বাসের স্টাপ,কলম্যানের সংক্ষাই বেশি ছিল। এখানে অনেক যাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে বাস টারমিনাল থেকে ঢাকার কথা বলে কাটা লাইনের বাসগুলোতে যাত্রী উঠিয়ে পরবর্তীতে তারা ঢাকা না গিয়ে গৌরনদী,মাদারীপুর এলাকায় নামিয়ে দেয়ার কারনে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এবিষয়ে কয়েকটি গাড়ির স্টাপরা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বলেন হরতাল ও হাইওয়ে মহাসড়কে বিরোধীদলের পিকেটিংয়ের ভয়ে তারা সরাসরি ঢাকা যাচ্ছে না। তেমনি যাত্রী সংক্ষা কম থাকায় তাদের তেল সহ যাবতীয় খরচ উঠাতে পারছে না। এদিকে হরতাল উপলক্ষে বরিশাল নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রন রাখার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।