জয়পুরহাটের দুই আসনে নৌকার মাঝি হতে চান ১৭ জন প্রার্থী। সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-১ এবং কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-২ আসন গঠিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের এই দুটি আসন থেকে ১৭ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে জয়পুরহাট-১ আসনে ১৪ জন ও জয়পুরহাট-২ আসনে তিনজন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জয়পুরহাট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৪ জন হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ ই এম মাসুদ রেজা, পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মাহফুজা ম-ল রিনা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মিঠু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তৌফিদুল ইসলাম বুলবুল এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল আলম চৌধুরী। এছাড়া জয়পুরহাট-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজন হলেন-আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের বর্তমান হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য তাজমহল হীরক। প্রসঙ্গত: এসব প্রার্থীদের মধ্যে কমবেশি সকলেই দলের জন্যই শ্রমও দিয়েছেন যেমন সুবিধাও লাভ করেছেন তেমন। তবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদান থাকলেও শহীদ পরিবারের সন্তান জয়পুরহাট-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম চৌধুরী (চাচা ও চাচাত ভাই পাক বাহিনীর গুলিতে নিহত) জানান, আজ পর্যন্ত তিনি বা তার পরিবার দলের কোন সুবিধা লাভ করেননি। তাই জীবনের শেষ ইচ্ছা দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করা। অপর মনোনয়ন প্রত্যাশি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হাসানুজ্জামান মিঠু জানান, ‘যুবক বয়সেই টানা ২ বার ইউপি সদস্য ও এর পরে টানা ২ বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি জনগনের ভালোবাসায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে ইনশাল্লাহ আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারব সাধারন মানুষের ভালোবাসায়।’ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।