কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় জামালপুর সদরের গোদাশিমলা গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে পুষ্টি নিরাপত্তায় মডেল বাগান। এই গ্রামের ৭৮ জন কৃষকের বাড়ীর আঙ্গিনার পরিত্যক্ত জমিতে এসব বাগান গড়ে উঠেছে। প্রতিটি বাগানে বিভিন্ন ধরণের শাক, সবজি বাগানের পাশাপাশি মসলা ও ফলজ গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। পুষ্টি বাগান করা কৃষকরা জানালেন এই বাগানের মাধ্যমে উৎপাদিত শাক সবজি দিয়ে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছেন। এক সময় শাক সবজি আর মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদন সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকলেও এই প্রকল্পের মাধ্যমে সবধরণের ফসল উৎপাদনের হাতেকলমে শিক্ষা পেয়েছেন তারা। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি বাগান করার জন্য একজন কৃষক শাক সবজির বীজ, চাষের উপকরণ, মসলা, ঔষধী ও ফল গাছের চারা, সার ও প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। মঙ্গলবার পুষ্টি নিরাপত্তায় মডেল বাগান পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়ক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলের জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার পারভেজসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। আঞ্চলিক সমন্বয়ক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানালেন, চলতি অর্থবছরে দেশের ৪৯ জেলার ৫০ টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের আরো ১০৫টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হব। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের নিজেদের পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি হবেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, যারা এই প্রকল্পের আওতায় সরকারি সহায়তায় যেসব কৃষক বাগান করতে পেরেছেন তারা অনেক লাভবান। আগামীতে এই প্রকল্পের আওতায় আরো বেশি সংখ্যক কৃষককে বাগান করে দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয় কৃষকরা।