বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ততা বাড়ছে কারিগরদের। বছরের অন্যান্য সময় তারা অলস সময় কাটালেও আশি^ন মাস থেকে পুরোদমে দোকানে শুরু হয় এই লেপ তোষক তৈরির কাজ। আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, নসরতপুর, মুরইল, কুন্দগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে মহাজন, কারিগরসহ প্রায় সহ¯্রাধিক শ্রমিক এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। আদমদীঘি সদরের মহাজন রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় ১০ বছর যাবত রেপ-তোষক তৈরীর কাজ করেন। আগে এনালক পদ্ধতিতে লেপ-তোষক তৈরী করা হতো। এখন উন্নতমানের জুকি মেশিনে কাজ করা হয়। এতে সময় কম লাগে। লেপর কাপড় তুলা সুতাসহ তৈরী খরচ বাবদ প্রকারভেদে গ্রাহকদের নিকট থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। গদির দাম নেয়া হয় ৪ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা। শ্রমিক মজুরি লেপ- ৬০০ টাকা ও তোষক বা গদি ৭০০ টাকা দিতে হয়। বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলা অবস্থিত তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানে কারিগরা লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এ পেশার কারিগররা ব্যস্ত থাকলেও অবশিষ্ট মাসে কারিগররা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন। লেপ তৈরি করতে আসা আব্দুর রহমান জানায়, সে ৩হাজার ৫০০টাকায় বড় মাপের একটি লেপ তৈরী করে নিয়েছেন।