শুধু জামালপুরেই নয় সারা বাংলাদেশের প্রতিটি হাসপাতালেই সমস্যা আছে। এখন দেখতে হবে সমস্যা সমাধানে এবং সঙ্কট উত্তরণে কি কি সুযোগ আছে। স্থানীয়ভাবে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। সকলের সদিচ্ছা এবং দেশপ্রেম থাকলে উদ্ভুত সমস্যা দূর করা কোন ব্যপারই না। জামালপুরের ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা ১০০ ভাগ নয় আড়াইশ ভাগ সেবা দিয়ে থাকেন। কারণ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপতালে বর্তমানে ৭০০ রোগীকে সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে আরো ভালো করার সুযোগ আছে। যদি কোন কর্মকর্তার বেতনের টাকায় না চলে তাহলে অনত্র বদলী হয়ে যান। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দায়িত্বহীনতা এখানে করা সুযোগ দেয়া হবে না।রবিবার জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলে জামালপুর সদর আসন থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান, পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএম, সিভিল সার্জন ডাঃ প্রনয় কান্তি দাস, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মো. ছানোয়ার হোসেন, জেলা এনজিও সমন্বয়ক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ মাহফুজুর রহমান। সভায় দালালমুক্ত করা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করা, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আরো গতিশীল করা, বহিরাগত এ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিমাসে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি সভার আয়োজন করাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ হাসপাতালের সহকারী পরিচালককে আগামী একমাসের মধ্যে হাসপাতালে বিভিন্ন ইস্যু উল্লেখ করে একটি কর্মপরিকল্পনা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।