বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে গত দেড় দশক ধরে ১০ লাখে বেশি বিদেশি অবৈধ শ্রমিক- কর্মচারী বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক লে. কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ। এসময় তিনি দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে অবৈধ বিদেশি কর্মচারীদের দ্বারা কর্মক্ষেত্র দখলকে দায়ী করেন। গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স কক্ষে অবৈধ বিদেশি খেদাও আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত তরুণদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও অবৈধ বিদেশিদের প্রভাব শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ফেরদৌস আজিজ বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশ। যা এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ পরিসংখ্যানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দেশে নাগরিকেরা কর্মসংস্থান খুঁজতে গিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুবরণ করছে।
তিনি বলেন, দেশের কর্মপ্রত্যাশীদের এ সংকটময় অবস্থায় বাংলাদেশে গত দেড় দশকে বহু অবৈধ বিদেশি অবৈধভাবে দেশের কর্মক্ষেত্র দখল করে রেখেছে। পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি বিদেশি শ্রমিক ও কর্মচারী বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছে। ফলশ্রুতিতে এ দেশের নাগরিকরা যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বি ত হচ্ছে।
ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেনের স লনায় এ গোলটেবিল আলোচনা সভায় গুণীজনদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, অ্যাডভোকেট মো. মহসিন রশিদ, মেজর (অব.) মজিবুর হক। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, নুরুল হুদা চৌধুরী মিলু, মেজর (অব.) মো. ইমরান প্রমুখ।
গুনীজনদের মধ্যে অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্নিকটস্থ স্থানে ফুলের ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারত থেকে আসা ব্যক্তিবর্গ ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজ করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদের নগ্ন চেহারা এদেশের মানুষ দেখেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যক্তিবর্গ বিষয়গুলো জেনেও অজ্ঞাত কারণেই আজ নিশ্চুপ। দেশের এই করুণ পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজকে সচেতন হতে হবে।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী তরুণ সমাজকেই বেকারত্ব দূরীকরণে এবং আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় দেশ থেকে অবৈধ বিদেশিদের তাড়াতে হবে। দেশের জনগণের স্বার্থে কেবল ভারতমুখী না হয়ে সংবিধান অনুসারে জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।