আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিচালনা সংস্থা আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান হবেন ভারতের জয় শাহ? বিসিসিআই সেক্রেটারি শাহের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাজত্ব করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলেকে ২০২০ সালে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এবং তিনি আরো একটি মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য। কিন্তু জয় শাহ এই পদের জন্য নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
কী সিদ্ধান্ত নেবেন জয় শাহ?
যদি তিনি এই পদের জন্য দাঁড়ান, তবে তার সর্বসম্মতভাবে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জয় শাহের সমর্থনের জেরেই বার্কলে আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বলা হচ্ছে, জয় শাহ যদি এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে গ্রেগ বার্কলে তার দাবি দাখিল করবেন না। সেক্ষেত্রে জয় শাহ এই পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন। আর যদি তিনি সফল হন, তবে তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হওয়া কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান হয়ে উঠবেন।
তবে ক্রিকবাজের মতে, নতুন আইসিসি চেয়ারম্যানের পদের জন্য জয় শাহ ঠিক রোমাি ত নন। তার বড় কারণ তাকে মুম্বই থেকে দুবাইয়ে সরে যেতে হবে। নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এবং তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চান কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তিন মাস সময় হাতে আছে।
চলতি মাসের শেষের দিকে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল) বার্ষিক সম্মেলন। এবার বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে কোনো নির্বাচন হবে না। ১৯ থেকে ২২ জুলাই অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনে তিনজন সহযোগী সদস্য পরিচালক নির্বাচিত হবেন। যার জন্য তালিকায় রয়েছেন ১১ জন দাবিদার। আইসিসির প্রধান অর্থাৎ চেয়ারম্যানের নির্বাচন নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তর্জাতিক মিডিয়া যা বলছে: জয় শাহ আইসিসি এবং বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেবেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনা চলছে। এমনও রিপোর্ট আসছে যে বিসিসিআই-এর বর্তমান সচিব আইসিসি সদর দফতর দুবাই থেকে মুম্বইতে স্থানান্তর করতে চান। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো এটিকে অস্বীকার করে দাবি করেছে যে, জয় শাহের এজেন্ডায় এরকম কিছু ভাবনা নেই। তিনি আইসিসির মধ্যে আরো ভালো কিছু পরিবর্তন আনতে আগ্রহী।
আইসিসি চেয়ারম্যানের মেয়াদ সংশোধন করা হয়েছে: চেয়ারম্যান নির্বাচনের আগে এই পদের মেয়াদ সংশোধন করেছে আইসিসি। এটি বিদ্যমান তিনটি মেয়াদ থেকে তিন বছরের দু’টি মেয়াদে পরিবর্তন করা হয়েছে। তার মানে, জয় শাহ এই পদে নির্বাচিত হলে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে তার তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবেন। এর পরে, বিসিসিআই সংবিধান অনুযায়ী, তিনি ২০২৮ সালে বিসিসিআই-এর সভাপতি হওয়ার যোগ্য হবেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস