তিনটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংগঠন ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মিয়ানমারের সামরিক শাসন। যুদ্ধক্ষেত্রে একের পর এক অপমানজনক পরাজয় বরণ করে এবং জাতিগত সেনাবাহিনীর কাছে অনেক অঞ্চল হারানোর পর এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এই খবর জানিয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে সামরিক সরকার বেসামরিক এলাকায় বোমা হামলা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অবকাঠামো ও ভবন ধ্বংসসহ ‘সন্ত্রাসী কর্মকা-’ পরিচালনার দায়ে ইউনাইটেড লীগ অব আরাকানের সশস্ত্র শাখা মিয়ানমারের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ)-কে হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। সামরিক জান্তা জাতিগত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিরীহ বেসামরিকদের হত্যা এবং জোরপূর্বক নিয়োগে অভিযোগও এনেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এই সরকার বেসামরিকদের হত্যা, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া এবং সারাদেশে আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণসহ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সংলাপ বা শান্তি আলোচনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে সামরিক শাসন। এর অর্থ এই যে, সরকারের সামরিক বাহিনী ও জাতিগত জোটের মধ্যে চীন আর শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে পারবে না, যেমনটি অতীতে করেছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শান রাজ্যের রাজধানী তৌংগিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সদর দফতর পরিদর্শনের সময় জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংও সতর্ক করেছেন, জাতিগত জোটের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে এমন যে কেউ সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হিসেবে গণ্য হবে।