চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া আজাদী বাজার মাদ্রাসায় শুরা কমিটির বৈঠক দিলেও উত্তেজিত এলাকাবাসীর তোপের মুখে মাদরাসায় যেতেই পারেননি হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। এর আগে সূরা বৈঠককে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার ছাত্র এলাকাবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুরের দিকে আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীর মাদ্রাসায় আসার খবরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী র্যাব পুলিশ ও ডিবির বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন। বিকেলের দিকে এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা ছাত্রদেরদের মুহুর্মুহু শ্লোগানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে প্রশাসন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এর আগে অর্থ আত্বসাতের অভিযোগে এলাকাবাসীর তোপের মুখে হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর মেয়ের জামাতা মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদীকে বহিস্কার করে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাদরাসার প্রবীন আলেম মাওলানা জাফর উল্লাহকে। মাওলানা জাফর উল্লাহর তত্ববধানে মাদরাসা সুচারুরূপে পরিচালিত হলেও বহিস্কৃত মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী ৫ আগষ্ট সরকারের পট পরিবর্তণ হলে আবার পুণরায় মুহতামিম পদ ভাগিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এর প্রতিবাদে বেশ কবার সংবাদ সম্মেলন করেন এলাকাবাসীসহ মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক। সর্বশেষ গতকাল ১৫ জানুয়ারী শুরা কমিটির বৈঠক ডাকেন হেফজাতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। এলাকাবাসীকে বাদ দিয়ে একপক্ষের হয়ে শূরা বৈঠক করতে চায় মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলে হেফজাত আমীর বৈঠক করতে মাদ্রাসায় আসার খবর পেয়ে সকাল থেকে মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার বাইরে অবস্থান নেয় শত শত এলাকাবাসী। এর ফলে দিনভর নানা গুঞ্জনের পর বিকেলে হেফজাত আমীরের নিজ মাদরাসা জামেয়া বাবুনগরে শুরা কমিটির বৈঠক করেন। বৈঠকে মাওলানা আলমগীরকে মুহতামিম ঘোষণা দেন। তবে এ শুরা কমিটির বৈঠককে অবৈধ বলে আবারো সংবাদ সম্মেলন করেন আজাদী বাজার মাদরাসা কতৃপক্ষ।