রাতের আঁধারে ভেকু মেশিন দিয়ে স্থাপনা গুড়িয়ে জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নামের এক ভুক্তভোগী সাংবাদিক। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট থানার ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও নির্লিপ্ততার অভিযোগ করেন। শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিক শফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। তার দাবি, গত ৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুরান বাউশিয়া এলাকায় ১০ শতাংশ জমির উপর নির্মিত ভবনটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। এতে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় তার। ভুক্তভোগী জসিমউদ্দিন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন জেলা শাখার সহ সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিক মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, জাল দলিলের মাধ্যমে বাউশিয়া এলাকার ৬-৭ জনের একটি দুবৃত্ত দল আমার পিতার নামে থাকা ২০ শতাংশ জমি দখলের জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে একটি টিনসেড ভবন পুরোপুরি গুড়িয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে টিনের বেড়া দিয়ে জমিটি দখল করে রাখে। এসময় দুবৃত্তরা দেশী-বিদেশী অস্ত্র ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করলে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। সাংবাদিক জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি জাতীয় জরুরী হেল্পলাইন নাম্বারে তৎক্ষণাৎ জানালে তারা স্থানীয় থানা-পুলিশকে অবগত করে। কিন্তু এরপরও থানা-পুলিশের পক্ষ হতে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। উল্টো শুনেছি প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন থানার ওসি। জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ। তিনি বলেন, ওইখানে ভাঙচুর হয়েছে কি না বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি নিয়ে থানায় কয়েকজন সাংবাদিক আমার সাথে আলোচনায় বসেছিলেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে পুলিশ।