ময়মনসিংহের ফুলপুর প্রশাসনের হেফাজতে থাকা শিশু রিয়ামনি(৮)। তারাকান্দা উপজেলার গালাগাও ইউনিয়নের কলহরী (ইটখোলা) গ্রামে রিয়ামনির নানা বাড়ি। রিয়ামনি’র নানা রমজান আলী ও নানি রহিমা খাতুনকে চিনতে পারে সে। অপরদিকে নানা-নানিও তাদের নাতনিকে চিনতে পারেন। অবশেষে সোমবার রাতে আনুষ্ঠানিকতা সেরে শিশুটিকে তার নানা-নানির কাছে হস্তাস্তর সময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ফুলপুর পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং এর সামনে সোমবার রিয়ামনিকে রাসেল নামে এক ব্যক্তি ফেলে রেখে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার শিশুটিকে উদ্ধার করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন এবং খাবারসহ নতুন জামা-কাপড় ও শীতের গরম কাপড় কিনে দেন। সেই সাথে শিশুটির পরিবারের কাছে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। এরই মাঝে উপজেলা প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ অনেকেই শিশুর পরিবারের খোঁজে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত কন্যা শিশুর কোন গার্ডিয়ান কিংবা কোন নিকটাত্মীয়ের সন্ধান না পাওয়ায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফুলপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তাস্তর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। অবশেষে ফেজবুকের পোস্ট রিয়ামনির পরিবারের নজরের আসে। ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে শিশুটির নানা-নানি তাকে চিনতে পেরে রাতে ফুলপুর থানায় আসেন এবং শিশুটিকে সনাক্ত করেন। সেই সাথে তার প্রকৃত নাম মিম আক্তার বলে জানায়। রিয়ামনির নানি রহিমা খাতুন ও নানা রমজান আলী জানান, প্রায় ২ বছর আগে মেয়েটি তার খালার ঢাকার পোস্তগোলার বাসা থেকে হারিয়ে যায়। অনেক খোজাখুজি করেও মেয়েটির কোন সন্ধান না পেয়ে তারা আশা হারিয়ে ফেলেছিল। অবশেষে ফেসবুকের কল্যাণে তারা তাদের হারিয়ে যাওয়া রিয়ামনিকে সনাক্ত করেন।আনুষ্ঠানিকতা সেরে মেয়েটিকে তার নানা-নানির কাছে রাতেই হস্তাস্তর করা হয়। তখন সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রিয়াামনির পরিবার ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার, ফুলপুর থানার পুলিশ, ফুলপুরে সাংবাদিকসহ ফেইসবুক পোস্ট দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।