আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সোনাইমুড়ী পৌর নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় ও গণসংযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। ভোর থেকে শুরু হয় প্রার্থীদের গণসংযোগ ও কুশল বিনিময়, দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে বিরতিহীন প্রচার মাইকিং। পৌর এলাকার হাঁট বাজার, দোকান পাটে শুধুই নির্বাচন নিয়েই আলোচনা। বুধবার সকালে ৭নং ওয়ার্ড (নাওতোলা বরলা- দুঃশ্চিমপাড়া) ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, এখানে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে। এখানে ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর লোকমান হোসেন (ব্রিজ প্রতীক), সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মানিক (ডালিম প্রতীক) ও খোকন খান (উট পাখী) এদের মধ্যে যদিও ত্রিমুখী অবস্থান লক্ষ্য করা গেলেও কিন্তু জনজরিপে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী সাংবাদিক মানিকের অবস্থান লক্ষণীয়। সাধারণ ভোটাররা জানান, সাংবাদিক মানিক অত্যান্ত ভালো ছেলে। সে বরলা গ্রামের মরহুম আবদুর রাজ্জাক মাষ্টারের বড় ছেলে। ছোট বেলা থেকেই তার স্বভাব চরিত্র ভালো। দুর্দিনে যেমন মহামারী করোনা কালীন সময়ে সাংবাদিক মানিক তার নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করেছেন। এছাড়াও সামাজিক কর্মকান্ডে আমিনুল ইসলাম মানিক সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বরলা গ্রামের ভোটার আবুল খায়ের জানান, এ এলাকার অধিকাংশ ভোট মানিক পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দুঃশ্চিমপাড়ার ভোটার জহির উদ্দিন জানান, এখানে নারী-পুরুষ সকল ভোটারই বলতে গেলে মানিকের কথা সবার মুখে মুখে। নাওতোলা এলাকার ভোটারের মধ্যে অনেকেই মানিকের জন্য কাজ করছে। এলাকার ভোটার সাংবাদিক মানিকের প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম ফয়সাল (আপন ফয়সাল) দৃঢ়তার সাথে বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচন হলে সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মানিক ভাই (ডালিম প্রতীক) বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। এছাড়া এলাকার মোঃ হানিফ, আমির হোসেন, মোশাররেফ হোসেন, ছিদ্দিক উল্যা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডালিম প্রতীকের প্রার্থী সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মানিক জানান, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আমি ইনশাআল্লাহ জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শেখ ফরিদ জানান, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষনিক দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়াও আইনশৃংখলা রক্ষায় র্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ এবং আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবে।