শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

দুর্গাপুরে পানির সংকট চরমে

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা ১টি পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। গ্রীষ্মের শুরুতে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চারিদিকে সুপেয় পানির হাহাকার থাকায় নানা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়। সমস্যা সমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। ভবানীপুর, গোপালপুর, গুজিরকোনা এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই এলাকার অধিকাংশ টিউবয়েলে রয়েছে আর্সেনিক। নদী-খাল, পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো চাষে ঘটছে বিরম্বনা। এ নিয়ে শনিবার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম গুলো ঘুরে জানা গেছে, প্রতি বছর এই মৌসুমে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি ও ক্ষেতে চাষের পানির অভাব চরম আকার ধারণ করে। শত শত লোক নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। সুপেয় পানির এ সংকট যেন এলাকাবাসীর নিত্য দিনের সমস্যা। বোরো আবাদে পানি না পেয়ে সাধারণ কৃষকগন দিশেহারা হয়ে উঠেছে। এলাকায় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের বাড়ীতে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল থাকায়, সুপেয় পানির সমস্যাতে থেকে যায় এলাকার নি¤œ আয়ের মানুষ গুলো। গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার আদিবাসী গ্রাম গুলোতে এ সমস্যা চলতে থাকলেও সরকারিভাবে এটি সমাধানের জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকার বেশিরভাগ নদী-খাল ও পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় গোসল ও খাবারের পানি মিলছে না কোথাও। ফলে লোকজনকে আর্সেনিকযুক্ত টিউবয়েলের পানি দিয়েই সাংসারিক সকল কাজ করতে হয়। এছাড়া চন্ডিগড় উচ্চ বিদ্যালয়, মাকরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বারমারি উচ্চ বিদ্যালয়, বিরিশিরি ইউনিয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল না থাকায় শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়ে আর্সেসিকযুক্ত পানিই পান করতে হয়। এছাড়া এখানকার বাসাবাড়ি ও হোটেল-রেষ্টুরেন্টে সুপেয় পানির অভাবে বিভিন্ন পুকুরের পানি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন লোক ভ্যানযোগে দুর থেকে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল এর পানি তুলে বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। পানির এ প্রকট সমস্যায় যেন দিশেহারা হয়ে উঠেছে লোকজন। বানিয়াপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পল্টন হাজং জানান, তার বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ শতাধিক ছাত্রী রয়েছে। তাদের জন্য সুপেয় কোন পানির ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে দুষিত পানি পান করতে হয় আমাদের। এর ফলে নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ-ব্যাধিতে ভুগতে হয় অনেককেই। চন্ডিগড় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল যুগান্তর কে জানান, বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে অনেক বাড়ীতে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে, এতে সুপেয় পানির সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হবে। বিশুদ্ধ পানি নিয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, এ সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল স্থাপন করতে পারলেই পানির সমস্যা দুর হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান জানান, এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর আগেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্প অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাব-মার্সেবল টিউবওয়েল স্থাপন করার জন্য অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com