দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার যোগাযোগ মাধ্যম এই বেইলি ব্রীজটি। জরার্জীণ বেইলি ব্রিজটি দিয়ে চলছে ভারী যানবাহন, ঘটতে পারে যে কোন সময় দুর্ঘটনা। ১৯৯৮ সালে করতোয়া নদীর উপর এই বেইলি ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। দিনাজপুর জেলার ও জয়পুরহাট জেলার বেশ কয়টি উপজেলা সঙ্গে রংপুর জেলা ও গাইবান্ধা জেলায় যাতায়াতের মাধ্যম এই বেইলি ব্রিজটি। এই বেইলি ব্রীজটির উপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত ভারী যানবাহন সমূহ বিপদের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। বেইলি ব্রীজটি অতি সরু হওয়ায় এক সঙ্গে দুটি গাড়ি ক্রোস করতে পারে না। একটি বড় গাড়ি প্রবেশ করলে ব্রীজের দুই পাশ্বে জ্যামের সৃষ্টি হয়। বেইলি ব্রিজটির বয়স অনেক হওয়ায় একটি গাড়ী ব্রীজে উঠলেই ঝন ঝন শব্দ হয়, মনে হয় এই বুঝি ভেঙ্গে পড়বে। ব্রীজের অনেক নাটবল্টু ঢিল হয়েছে ও খসে পড়েছে, এর ফলে লোহার পাত গুলো মধ্যে ফাক হয়েছে। এই ফাক গুলোর কারনে রিক্সা, ভ্যান ও সাইকেলর চাকা ডুকে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মাঝে মাঝে জোড়াতালি দিয়ে বেইলি ব্রীজটি সংস্কার করে চলার উপযোগী করলেও কিছু দিন পরে পূর্বের অবস্থায় দেখা যায়। এই বিষয় নিয়ে এলাকাবাসী সঙ্গে কথা বল্লে তারা জানায়, ঘোড়াঘাট উপজেলা ও আশেপাশে উপজেলা সহ রংপুর, গাইবান্ধা জেলার যোগাযোগ মাধ্যম এই ব্রীজটি, পথচারীদের ও ঘোড়াঘাট উপজেলা বাসীর প্রাণের দাবি দিনাজপুর-৬ আসন সংসদ শিবলী সাদিক এমপি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে অকুল আবেদন করেন ও ব্রীজটি অপসারণ করে, অতিদ্রুত সেখানে আর সিসি ব্রীজ নির্মাণ করে। প্রাণ হানীর আশঙ্কা থেকে রক্ষা করতে জোর দাবী জানায়। এই বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রকৌশলী মো: নূরনবী খাঁনের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানায়, এই প্রজেক্টটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অওতায়, আমাদের অওতায় নেই। এই বিষয়ে পৌর মেয়র আব্দুর ছাত্তার বলেন, বেইলি ব্রীজটি আমাদের দিনাজপুর সীমানার মধ্যে কিনÍু ব্রীজটি দেখা শোনা ও সংস্কারে কাজ করেন গাইবান্ধা জেলা থেকে।