গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বাঁশ ও জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে ৫টি পরিবারকে বন্ধি করে রেখেছ প্রতিপক্ষ। এই ৫টি পরিবারের যাতায়াতের দুটি পথ বন্ধ করে দেওয়ায় তারা জরুরী প্রয়োজনে এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। এ অবস্থায় তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানাগেছে, উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দ্রা গ্রামের আব্দুস সালাম দাড়িয়ার সাথে একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও ফুরু শেখের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুস সালাম দাড়িয়ার সাথে ফুরু শেখের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুস সালাম দাড়িয়ার ছেলে দিপু দাড়িয়া ফুরু শেখকে মারধর করে। এ ঘটনায় বুধবার ভোরে ফুরু শেখের লোকজন আব্দুস সালাম শেখের বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুটি পথ বাঁশ ও জাল দিয়ে বেড়া দেয়। এ বেড়া দেওয়ার কারণে ওই বাড়ির পরিবার এখন বন্ধি অবস্থায় রয়েছে। আব্দুস সালাম দাড়িয়া বলেন, এই বাঁশ ও জাল দিয়ে বেড়া দেওয়ার কারণে আজ সকাল থেকে আমরা জরুরী প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমার পরিবারে গর্ভবতী নারীসহ বাড়িতে অসুস্থ রোগী রয়েছে। এদের নিয়ে এখন হাসপাতালে যেতে পারছিনা। তা ছাড়া রমজান মাস। এই বেড়া না সড়ালে আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারবো না। দ্রুত বেড়া সড়ানোর জন্য আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ফুরু শেখ বলেন, আমি একজন বয়স্ক লোক। আমাকে মারধর করার কারণে আমাদের লোকজন দুটি পথে বেড়া দিয়েছে। তবে যে স্থানে বেড়া দেওয়া হয়েছে সে জায়গা দুটি আমার। সালাম আমাকে মারধরের বিচার দিলে আমাদের লোকজন এই বেড়া তুলে ফেলবে। কোটালীপাড়া থানার এস আই আব্দুল করিম বলেন, বিষয়টি মৌখিক ভাবে আমাকে আব্দুস সালাম দাড়িয়া জানিয়েছেন। লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।