নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে পরিচিত বসুরহাট বাজারে জমে উঠছে ঈদের জমজমাট কেনাকাটার বাজার।জানা যায় প্রতি বছর নারি ও পুরুষদের শার্ট,প্যান্ট,পাঞ্জাবি,মহিলাদের সেলাই ছাড়াই জামা, কাপড়, থ্রিপিস ইত্যাদির থান কাপড়ের দোকান গুলোতে বেচাকেনা শেষ হতো রমজানের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে। তবে এবার করোনা প্রতিরোধে সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে ঈদের বাজারে প্রথমে ভাটা পড়লেও পরবর্তী ১৫ রমজানের পর হতে ক্রেতাদের কেনাকাটা করতে শফিংমল ভিড় দেখা যাচ্ছে।তবে ২০ রমজানের পর হতে অনেকটা বলা যায় পুরো দমে চলছে কেনাকাটা ক্রেতাদের ভিড়। এই দিকে বাজারের শফিংমল গুলোতে যেমন -পৌর মার্কেট, আরডি শফিং মল, কালামিয়া ম্যানশন, স্বপ্নপুরী দীঘি মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে দেখা গেল কোথায় তিল পড়ার জায়গা নেই প্রচন্ড ভিড় জমে থাকতে দেখা যায়, বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।দোকান মালিকদের মুখে মৃদু হাসি লক্ষ্য করার মত তবে দীর্ঘ ২ বছর পর দেখা যায় এমন হাসি।গত বছর এমন সময় করোনার কারনে লকডাউনের মধ্যেই পুরো মাসকে মাস ধরে দোকানপাট বন্ধ থাকায় এবং চলতি বছর দোকান খোলা থাকাতেই বেশ খুশি এবং আনন্দ প্রকাশ করেন কাপড় ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।দোকান শফিংমল খোলা রাখা হলেও নৃত্য নতুন ফ্যাশন ডিজাইনেবল তেমন কোন পোশাক চোখে পড়েছে না এবং নেই বললেই চলে।তবে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোঃ রাছেল বলেন লকডাউনের কারনে ব্যবসায়ীরা শহর মুখি হতে পারে নাই এবং অর্থনীতিক সংকটের কারনে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক ব্যবসায়ীরা ক্রয় করতে হিমশিম খেতে হয়েছে।তবে মনোমুগ্ধ করার মতো বাহারি রং বেরংজ্ঞে নানা ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে শপিং মল গুলোতে।এই দিকে পোশাকের পাশাপাশি জুতার মার্কেট গুলোও জমে উঠছে,যদিও ক্রেতাদের নানা অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু দোকানে মন গড়া দাম দরে ক্রেতা সাধারণকে বিপাকে পড়তে দেখা গেছে, এমন অভিযোগ করেন এক জন ক্রেতা মোঃ সুমন আহম্মেদ এই অভিযোগ উপস্থিত সাংবাদিককে জানান। গত কয়েক দিন যাবত চোখে পরছে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বৃহৎতর বাজার বসুরহাট বাজারের চিত্র।ব্যবসায়ীরা আশা করছে, রমজানের শেষে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রেডিমেড পোষাক পণ্যের ঈদবাজার আরো চাঙা হতে পারে।তবে এবার থান কাপড় বা কাটা কাপড়ের ব্যবসায়ীরা তেমন লাভোবান হবেনা বলে দারনা করা হচ্ছে।ঈদকে সামনে রেখে ঈদের বেচাকেনার জন্য প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেছে।ঈদ যত ঘোনিয়ে আসছে এখন বেচাকেনা তত জমে উঠছে।বসুরহাট বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন,বসুহাটে মফস্বল থেকে আসা অনেক দোকানদার এ বাজার থেকে পাইকারি পণ্য ক্রয় করতো ঈদের আগে জমজমাট ভাবে তা এবার তেমন দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু করোনা মন্দার প্রভাবে এবার তা অনেকটা বন্ধ বললেই চলে এছাড়াও বন্ধ রয়েছে দোকানিদের কালেকশন বা বাকি টাকা আদায়ের হিসেবের খাতাও শুন্য।এই দিকে করোনা কালিন লকডাউনে বসুরহাট স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে যাতে গ্রাহকেরা কেনাকাটা করতে পারেন তার জন্য প্রতিটি দোকানকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,হ্যান্ড স্যানিটাইজার,ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক রাখার বিষয়টি মনিটরিং করছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ।