গাজীপুরের কালীগঞ্জে জনাতার দাওয়া খেয়ে পালানোর সময় নারীসহ ২ চোরকে আটক করেন এলাকাবাসী। এ সময় অন্য চোররা পালিয়ে গেলেও ২ চোরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের আওড়াখালী-নরুন সড়কের বরাইয়া গ্রামের কিনাডাঙ্গি নামক স্থানে। চোর ধরার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে কালীগঞ্জ থানার উপপরির্দশক শুক্কুর আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজিসহ দুই চোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত ২ চোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আটকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার মৃত মনু মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন(৫০), মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার মৃত এসহাক মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম(৪৫)। বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বরাইয়া গ্রামের দিলীপ চন্দ্রধর প্রতিদিনের ন্যায় তার বাড়ীর পার্শের টেকে ঘাস খাওয়ার জন্য গরু রেখে আসেন। পরে সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় চোর চক্রের সদস্যরা বরাইয়ার কিনাডাঙ্গি নামক টেক থেকে জোরপূর্বক গরু সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় আম কুড়ানো ছেলে-মেয়েরা জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে গরু নেয়ার দৃশ্য দেখে ডাক-চিৎকার দেয়। তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী চোরদের সিএনজির পিছনে দাওয়া করন। এদিকে চোররা তারাহুড়া করে পালানোর সময় দেওতলা চৌরাস্তা নামক স্থানে সিএনজির চাকা গর্তে পরে গাড়ি উল্টে যায়। এ সময় গরু ও সিএনজিসহ ২ চোরকে আটক করলেও সিএনজি চালকসহ তাদের সহযোগী চোরেরা পালিয়ে যায়। আটককৃতরা জানান- তাদের ৭ জনের সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র এলাকায় আসেন। পরে স্থানিয়রা দাওয়া দিলে আমরা ২ জন আটকা পরলেও আমাদের সাথে থাকা জনি, রুবেল, শরিফ, পান্না ও নার্গিসসহ সিএনজি চালকরা সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ-কাপসিয়া সার্কেল) ফরজানা ইয়াছমিন বলেন- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মিজানুল হক জনান- ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত দের আইনের আওতায় আনা হবে।