শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রফিকুল ইসলামকে আবারো তিন দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর ভার্চুয়াল আদালত এই রিমান্ড আদেশ দেন। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কারাগার থেকে আসামি রফিকুলকে আদালতে হাজির দেখানো হয়। এরপর পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন রফিকুলের।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলামকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা থেকে আটক করে র্যাব। পরের দিন ৮ এপ্রিল র্যাব বাদী হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় করে। একইদিন তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর গত ১৫ এপ্রিল এ মামলায় গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তার দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের ভার্চুয়াল আদালতে মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগের দিন গত ২১ এপ্রিল সকালে বিস্ফোরক মামলায় রফিকুল ইসলামের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল হাই। একইদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় রফিকুলের আরো চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের ভার্চুয়াল আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।