রাজশাহী বিভাগে ১০৬ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন মাত্র দুজন। করোনায় মারা গেছেন একজন। শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যদিও বিভাগে একমাত্র রাজশাহীতে করোনায় মৃত দেখানো হয়েছে জেলার বাঘা উপজেলার গাঁওপাড়া এলাকার আবদুস সোবহান নামের এক বৃদ্ধকে। দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। ফুসফুসে পানি ও বাতাস জমে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নওসাদ আলী।
এর আগে ২০ এপ্রিল রামেক করোনা ল্যাবে পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। ওই দিনই তাকে রাজশাহী সংক্রামক ব্যধি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।
গত ২৬ এপ্রিল সেখানেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগের দিন তার দ্বিতীয় দফা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেয়া হয়। তবে আবদুস সোবাহান করোনায় মারা গেছেন এমনটি দাবি করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য।
তিনি বলেন, প্রথম দফা নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়েছিল। এরপর তাকে করোনা রোগী হিসেবে চিকিৎসা দেয়া হয়। আমরা তার মৃত্যুর কারণ করোনা হিসেবেই ধরছি।
এদিকে, মৃত আবদুস সোবাহানসহ রাজশাহী জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
এছাড়া জয়পুরহাটে ৩২ জন, বগুড়ায় ২০ জন, নওগাঁয় ১৭ জন, পাবনায় ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ জন এবং সিরাজগঞ্জে দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে বগুড়ার দুই করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি জয়পুরহাটে ৩১ জন, বগুড়ায় ৯ জন, রাজশাহী ও নওগাঁয় একজন করে মোট ৪২ জন।
গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভাগজুড়ে আইসোলেশনে নেয়া হয় ১৯১ জনকে। এর মধ্যে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৩৩ জন।
শুক্রবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে করোনা রোগী পাওয়া গেছে রাজশাহী, জয়পুরহাট ও বগুড়ায় একজন করে ৩ জন। নতুন করে হাসপাতালে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১০ জনকে। আর হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৫৮০ জনকে। তবে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন এক হাজার ১১৮ জন।
এমআর