সংগঠন করতে হলে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাঁত ও তাঁতীদের সঙ্গে যাদের সমন্বয় ও সম্পর্ক নেই, তাদের তাঁতী লীগ করতে হবে না। তাঁত শিল্পের বিকাশে তাঁতী লীগ হবে। বিদেশের মাটিতে কেউ যেন তাঁতী লীগের দোকান খুলতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। গত শনিবার (২৯ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তাঁতী লীগ আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
গত বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে পৃথিবীর অন্যসব দেশের মতো করোনার সংক্রমণে অভিঘাত মোকাবিলা করতে হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। আমদানি-রফতানি বাণিজ্য তথা উৎপাদন ব্যবস্থাকেও সচল এবং গতিশীল রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আহরণের চাকা সচল রাখার মতো চ্যালেঞ্জিং কাজ সরকার দক্ষতার সঙ্গে চালিয়েছে এবং এ সময়ে দুই হাজার ২২৭ ডলার মাথাপিছু আয় বেড়েছে বলে জানান সড়ক পবিহন ও সেতুমন্ত্রী।
বিএনপি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক উদারতা, জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট ও দায়িত্বশীলতা শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। যা করোনাকালে জনমানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। করোনা ও সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে না গিয়ে নিরাপদ দূরত্বে ছিল বিএনপি। নেতিবাচক রাজনীতি চর্চার মধ্যেও আসন্ন বাজেট নিয়ে বিএনপি ২৪ দফা ভাবনা তুলে ধরেছে উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ ভাবনার মাঝেও সরকারের সফলতা বা অর্জনের কোনও একটি বাক্য খুঁজে পেলাম না। বিএনপি যত ইতিবাচক ভাবনাই ভাবুক, তারা তাদের সেই সঙ্কীর্ণতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি। তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা অব্যাহত রাখা, টিকা সংগ্রহ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভ সম্প্রসারণ ইত্যাদি সূচকে দেশের অর্থনীতির যে সক্ষমতা, তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মুখে কোনও প্রশংসা কিংবা বাস্তব অর্জনের কথা নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্থনীতির সংকোচনের কথা বলেছেন, এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার আগেই তাদের আত্মিক সংকোচন ঘটে গেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় আসন্ন বাজেট জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার বহুমাত্রিক পরিকল্পনার অনন্য সমন্বয় ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।