ভারতে আটকা পড়া পাসপোর্ট ধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে। এদিকে করোনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা সনদ ছাড়ায় ভারত থেকে পণ্য বাহী ট্রাকসহ চালক-হেলপাররা প্রবেশ করছে হিলি স্থলবন্দরে। এতে আতঙ্কে আছে বন্দরবাসীরা। হিলি পানামা পোর্ট লিংকের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলমান রয়েছে এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি সহ সকল কার্যক্রম। ভারত থেকে হিলি চেকপোস্টে প্রবেশ পথে প্রথমে ভারতীয় পণ্য বাহী ট্রাক এবং চালক-হেলপারদে জীবাণু নাশক প্যানেল মেশিনে স্প্রে করা হচ্ছে। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তাদের সাথে চলাচল করা হচ্ছে। হিলি আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি ও হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন জানান, গত এক সপ্তাহ আগে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছিল, তাদের পণ্য বাহী ট্রাক চালক-হেলপারদের করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষার সনদ ছাড়া বন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তারা আমাদের নিকট ১৫ দিনের সময় নিয়েছেন। আর মাত্র ৭ দিন বাঁকি আছে, ৭দিন পর তারা যদি করোনার সনদ সাথে না আনতে পারেন তাহলে আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিবো। হাকিমপুর (হিলি) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, ভারত থেকে এযাবৎ পাসপোর্ট ধারী যাত্রী এসেছেন ১৩৬ জন। এদের মধ্যে ৩জন যাত্রীর করোনা পজেটিভ হয়েছেন। তাদের দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বাঁকি যাত্রীদের হিলির বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের কেয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। হিলি ইমিগ্রেশন ওসি সেকেন্দার আলী বলেন, ভারত থেকে আটকা পড়া পাসপোর্ট ধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ১৩৬ জন যাত্রী এসেছেন। এখনও অনুমোদন কৃত আরও প্রায় ৪০ জন যাত্রী এই চেকপোস্ট দিয়ে আসবেন। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ আলম জানান, দেশে করোনাকে প্রতিহত করতে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ৩ জন যাত্রীর করোনা পজেটিভ হয়েছে। তাদের দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বাঁকিদের হিলির বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রেখেছি। আমি প্রতিনিয়ত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাত্রীদের দেখবাল করছি। আশা করছি ভারত থেকে আসা যাত্রীদের দ্বারা কোন প্রকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াবে না।