বর্তমানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলনবিলের খালে বিলে বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলনবিলাঞ্চলে চলছে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধনের মহোৎসব। যাকে বলে ‘পীরের মাছ’। এলাকাবাসী জানান, চলনবিলে বর্ষার আগমনে খালে পানি আসতে শুরু করেছে। এ সময় কম পানিতে ডিমওয়ালা বড় বড় বোয়াল মাছ ডিম ছাড়ার জন্য পানির মধ্যে লাফালাফি করে। তখনই প্রতিনিয়ত মাছ শিকারি যুতের সাহায্যে পার দিয়ে কৌশলে হাতবন্দি করে। কারণ ডিম ছাড়ার জন্য বড় মা বোয়াল মাছ উপরে উঠে আসে। পাশাপাশি ছোট (পুং) মাছ বড় মাছের ডিম থলিতে কামড়ে দিলে বড় মা মাছের ডিম নিঃসরণ হয়। মূলত মা মাছের ডিমের কামড়েই উপরে উঠে মাছ শিকারির হাতে ধরা পড়ে। এটিকে চলনবিলের আঞ্চলিক ভাষায় ‘পীরের মাছ’ বলা হয়। উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন দল বেঁধে এ অঞ্চলের মানুষ চলনবিলের খালে গিয়ে বড় বড় বোয়াল মাছ ধরছেন। একেকটা মাছের ওজন চার কেজি থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত। শনিবার সকালে হামকুড়িয়া গ্রামের শাহাদত হোসেন চার কেজি ওজনের বোয়াল মাছ ধরেছেন। এই মাছটির বর্তমান বাজার মূল্য কেজিপ্রতি ৭০০ টাকা। এছাড়া হামকুড়িয়া পশ্চিমপাড়ার মাছ শিকারি আব্দুল মালেক জানান, শনিবার সকালে তিনি ১০ কেজি ওজনের একটা ডিমওয়ালা বোয়াল মাছ (পীরের মাছ) ধরেছেন। পরে গ্রামেই সেই মাছ ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তিনি মাছটি ধরেছেন হাটিকুমুরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৮ নম্বর ব্রিজ এলাকায় চলনবিলের খালে। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. মশগুল আজাদ দৈনিক খবরপত্রকে জানান, ডিমওয়ালা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।