মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে সরকারের পক্ষ থকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর পাচ্ছেন আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবার। আজ রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। মুখ্য সচিব জানান, ২ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১ লাখ পরিবারকে বিনামূল্যেজমিসহ ঘর দেয়া হবে। বিনামূল্যে জমিসহ ঘর পাচ্ছেন আরও ৫৩ হাজার পরিবার।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীনে দ্বিতীয় ধাপে চলতি মাসে আধা-পাকা বাড়ি পাচ্ছেন আরো ৫৩ হাজার ৪৩৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। এর আগে প্রথম ধাপে গত জানুয়ারি মাসে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাড়ি পেয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭ হাজার ২৮০টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ হাজার ৫১২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ হাজার ৫৬২টি, রংপুর বিভাগে ১২ হাজার ৩৯১টি, রাজশাহীতে ৭ হাজার ১৭২টি, খুলনা বিভাগে ৩ হাজার ৯১১টি, বরিশাল বিভাগে ৭ হাজার ৬২৭টি এবং সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৯৭৯টি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে শেরপুরে এবার জমিসহ ঘর পাচ্ছেন ১৬৭ ভুহিহীন-গৃহহীন পরিবার। এ উপলক্ষে পুরো ঝিনাইগাতীজুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা। শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ‘ক’ শ্রেণির (জমি নাই, ঘর নাই) ৫২ হাজার ৯৪৫টি ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে শেরপুর জেলায় ঘর পাচ্ছেন ১৬৭ ভূমিহীন-গৃহহীন। এর মধ্যে সদরে ৩০টি, নালিতাবাড়ীতে ৫০, নকলায় ৪২, শ্রীবরদীতে ২০ ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২৫ ঘর রয়েছে। হাফবিল্ডিং টিনশেড নির্মিত এসব ঘর প্রতিটি নির্মাণে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জেলায় মোট ব্যয় হয়েছে। প্রতিটি ঘরে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ, টয়লেট ও পানি সরবরহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম পর্যায়ে জেলায় ৫ কোটি ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৯১টি পরিবারের মাঝেও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের একজন মানুষকেও গৃহহীন রাখবেন না। এজন্য তিনি ভূমিহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সরকারের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং কোনও মানুষ যেন বাসগৃহ ছাড়া না থাকেন। প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, রিকশাচালক, দিনমজুর, বিধবা, গৃহকর্মীসহ প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন বাছাই করে তাদেরকেই জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে।