মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

স্টেশন প্লাটফরম ছেড়ে বৃদ্ধা মালেকা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১

আর মাত্র একদিন বাকি, আগামীকাল রোববার মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নেত্রকোনায় দ্বিতীয় ধাপে ১০ উপজেলায় চিহ্নমূল অসহায় পরিবার ৯২৫টি সেমিপাকা ঘর দেওয়া হবে। জেলার পূর্বধলার পুরাকান্দুলিয়া গ্রামের ৭০ বছরের অসহায় বৃদ্ধা মালেকা বেগম রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফরম ছেড়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরে উঠেছেন। তার মত অনেকেই তাদের নামে বরাদ্দকৃত ঘরে উঠে পড়েছেন। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে জেলার ১০ উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে ৯২৫টি ঘর। প্রতিটি ঘরের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর মধ্যে দুর্গাপুরে ৩৫টি, সদরে ৪৪টি, বারহাট্টায় ২৫টি, কলমাকান্দায় ৫০টি, আটপাড়ায় ৫০টি, কেন্দুয়ায় ৫৬টি, মোহনগঞ্জে ৭৫টি, মদনে ৮০টি, খালিয়াজুরীতে ৪০০টি ও পূর্বধলায় ২০টি। ওই সমস্ত ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে নির্মিত হয়েছে ওই সমস্ত ঘর। প্রথম ধপায় জেলার ১০ উপজেলায় ৯শ ৬০টি পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।বারহাট্টা. আটপাড়া, খালিয়াজুরী, দুর্গাপুর, পূর্বধলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নির্মিত ঘর ঘুরে দেখা গেছে, ওই সমস্ত ঘরে হতদরিদ্র চিহ্নমূল মানুষ বসবাস করছেন। তারা কেউ রিকশা চালান, কেউবা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার পরিচালনা করেন। আবার কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং মাছ ধরে জিবিকা নির্বাহ করেন। কথা হয় কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে। তারা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে খুবই খুশি। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কেউ কেউ আনন্দে কেঁদে ফেলেন। পূর্বধলা উপজেলার পুরাকান্দুলিয়া গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধা মালেকা বেগমের স্বামী- সন্তান কেউ নেই। প্রায় ২০ বছর ধরে অন্যের আশ্রয়ে, কখনও অফিসের বারান্দায় থাকতেন। সর্বশেষ পূর্বধলা রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফরমে থাকতেন। তাকে দেওয়া হয়েছে উপজেলার নারায়নডহরে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রধানিমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর। ওই ঘর পেয়ে মালেকা বেগম খুব খুশি। মালেকা বেগম বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাকে থাকনের জন্য ঘর করে দিছে। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। ২০ বছর ধইরা আমি অন্যের আশ্রয়ে থাকতাম। আমার কোন ঠিকানা ছিল না। এখন একটা ঠিকানা পাইছি। আমার স্বামী সন্তান নেই। আল্লায় শেখ হাসিনারে অনেক দিন বাঁচাইয়া রাখুক।’ এমনি ধরনের কথা বলেন আরও অনেকেই। আশ্রয়ন প্রকল্পের অপর উপকারভোগী প্রায় ৬০ বছরের বৃদ্ধা উপজেলার খলিশাপুরের পুতিয়া গ্রামের সালেমা খাতুন কথা বলেতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘ঘর পাওয়ায় আমার খুব উপকার হইছে। আগে অন্যের বাড়িতে থাকতে হইত, কষ্ট করে চলতে হইত। শেখ মুজিবুর রহমানের মাইয়া ( মেয়ে) শেখ হাসিনা আমাদের ঘর দিছে, আমরা খুব খুশি হইছি।’ নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান শুক্রবার পূর্বধলার নারায়নডহরে আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পরিদর্শনে যান। তিনি জানান, জেলার ১০œ উপজেলায় প্রথম দফায় ঘর ও জমি দেওয়া হয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্র মোট ৯শ ৬০জনকে। প্রত্যেকের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই শতক করে খাস জমি। দ্বিতীয় ধাপে ১০ উপজেলায় ৯২৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। যার পুরোটাই বহন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। ওই সমস্ত ঘরে ১৯ দশমিক ৬ ফুট বাই ২২ ফুটের দুটি শয়নকক্ষ, একটি রান্না ঘর, সংযুক্ত পায়খানা- গোসলখানা ও সামনে বারান্দাসহ রঙিন টিনের ছাউনি দ্বারা এসব ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ওই সমস্ত গৃহ নির্মাণ করা হয়। রোববার দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত ওই সমস্ত ঘরের কাগজপত্র ও জমির দলিল উপকারভোগীদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com