বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি বিরুদ্ধে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় কবির হাট উপজেলার ‘জিয়াউর রহমান সম্রাট -এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও কোম্পানীগঞ্জের আশ্রাফ হোসেন রবেন্সের গ্রেপ্তারের দাবিতে “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখা, বসুরহাট পৌরসভা শাখা, ও সরকারি মুজিব কলেজ শাখার আয়োজনে রবিবার সকাল ১০টায় বসুরহাট জিরো পয়েন্ট বংঙ্গবন্ধু চত্বরে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।মানববন্ধনে মেয়র মির্জা কাদের বলেন আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে শান্তিপ্রস্তাব দিয়ে আসছি আর অথচ তারা করে চলছে তান্ডব হামলা। আমি শান্তির প্রস্তাব নিয়ে মুছাপুর গিয়ে ছিলাম সেখানে মিটিং শেষ করে আসার পথে আমার গাড়ি বহরে তারা গুলি করে তান্ডব চালিয়েছে মুসাপুরে হেনজা, শাহিন চৌধুরী সহ অনেকের নেতৃত্বে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত অফিসারের সহযোগিতায় আমরা সেখান থেকে প্রানে বেঁচে এসেছি।ওসি তদন্ত সেখানে কঠিন ভূমিকা রেখে ছিল। পুলিশকে ধন্যবাদ জানায় আমাকে সহযোগিতা করার জন্য। মেয়র মির্জা কাদের আরো অভিযোগ করে বলেন আমি শুনেছি ঢাকাতে আমার প্রতিপক্ষ তারা মিটিং করেছে বাদলের রুমে সে খানে সাথে ছিল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, এনাম মাষ্টার, বাদল সহ অনেকেই, তাদের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় আমাকে হত্যা করা, হত্যা করতে না পারলে আমাকে পঙ্গু করে দেওয়া। আমি এমন কথা শুনেছি যা শুনে আমি চ্যালেঞ্জ করে মুসাপুর ও চরফকিরাতে গিয়েছি। আমাকে বাঁঁধা দাওয়ার জন্য সেখানে রাস্তার উপর গাছ কেটে পেলে রাখে পরে পুলিশ এসে রাস্তার উপর থাকা গাছ সরিয়ে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে দেয়। আমি বারবার গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগ করার পরও ফরেষ্ট অফিসার গাছ কাটার মামলা করেনি তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা করেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (টিএনও), এসিল্যান্ড এদের বিরুদ্ধে যদি মামলা করতো তা হলে এই ভাবে গাছ কাটা সাহস তাদের হতোনা।আমি চরফকিরা পাটওয়ারী বাড়ীতে গিয়েছিলাম সেখানে লোকজন সাথে কথা বলে সেখান থেকে চরএলাহি স্প্রিড ব্রিজ এলাকায় যাবো লোক জনের সাথে কথা বলার জন্য। সেই রাস্তায় পথের মধ্যে গাছ কেটে পেলে রেখে গেছে পুরো রাস্তায়, তারা আমাকে আর সেখানে যেতে দেইনি। মুসাপুরের সেই দিন যদি গাছ কাঁটার মামলা করা হতো তাহলে আজ চরফকিরাতে এভাবেই গাছ কাঁটা হতোনা। চরএলাহি থেকে পায়ে হেটে ১০০/১৫০জন এর মত মানুষ জন আমাকে দেখার জন্য ছুটে আসে এক নজর। আমি সেখান থেকে পিরে এসে পেশকার হাট রাস্তার মাথায় মিটিং করার সময় খবর আসে চাপরাশির হাট থেকে দল বল নিয়ে মিছিল করে আসছে পুলিশের উপর এবং আমাদের উপর হামলা চালাবে বলে। সেই দিন পুলিশের শক্ত অবস্থান থাকায় আমরা প্রানে বেঁচে যায়। কাদের মির্জা গত দুই দিনে মুসাপুর ও চরফকিরা ইউনিয়নে ঘটে যাওয়া বিষয়ে মানববন্ধনে জনগনকে অবহিত করেন এবং সর্ভীক ভাবে সহযোগিতা করার জন্য কাদের মির্জা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। কোম্পানীগঞ্জ থেকে অস্ত্র গোলাবারুদ যার যার কাছে আছে তাদের গ্রেফতার করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন মেয়র মির্জা। তিনি আরো বলেন আগামী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অবাদ নিরপেক্ষ এবং সর্বদলীয় অংশ গ্রহন মুলক নির্বাচন হবে,জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে, জোর করে কেন্দ্র দখল করে আর ভোট হবেনা। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কটুক্তির তিব্র নিন্দা জানান এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্র লীগে নেতৃবৃন্দ সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।