কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় স্বাস্থ্যকর্মী এবং দেবিদ্বারে মা-মেয়েসহ জেলায় নতুন করে আরও ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দেবিদ্বার পাঁচজন, বরুড়া দুইজন ও লাকসামে একজন।
এ নিয়ে জেলায় মোট ৯২ জন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার (০৩ মে) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আহম্মেদ কবীর বলেন, ১ মে দেবিদ্বার থেকে ১৮টি নমুনা সংগ্রহ করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে পাঠানো হয়। রোববার ১৮টি নমুনার রিপোর্টে পাঁচজনের পজেটিভ ও ১৩ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল উপজেলা সদরে করোনায় মারা যাওয়া শঙ্কর হোমিও ফার্মেসির মালিক ডা. সুকুমার চন্দ্রের নাতি এবং তার মা ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে রয়েছেন। এছাড়া উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের একজন এবং শঙ্কর হোমিও ফার্মেসির এক কর্মচারী রয়েছেন। এ নিয়ে দেবিদ্বারে ২০ জনের করোনা শনাক্ত হলো। মারা গেছেন একজন ইউপি সদস্যসহ তিনজন।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাকিব হাসান বলেন, বর্তমানে এ উপজেলায় ২০ জন করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন। মারা গেছেন তিনজন। নতুন করে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্তদের ঘর-বাড়ি লকডাউন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল আলী বলেন, আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি হাসপাতালের পাশেই থাকতেন। তার পরিবারের মধ্যে দুইজনের নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকিদের নমুনার রিপোর্ট আগামীকাল দেয়া হবে।
অন্যদিকে বরুড়া উপজেলায় আরও দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুলিশের এসআইয়ের দাদি ও এবং আরেকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. নিসাত সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, রোববার (০৩ মে) পর্যন্ত কুমিল্লায় সংগ্রহকৃত দুই হাজার ৩৫টি নমুনার মধ্যে এক হাজার ৮৯২টি রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪ উপজেলার ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৩ জন এবং মারা গেছেন চারজন। আক্রান্ত ও মৃতের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা।
এমআর/প্রিন্স